সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন?

সারাদেশ

নড়াইল সদর থানা ১২ নং বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের এবারের নির্বাচন


বিজ্ঞাপন

মো. রফিকুল ইসলাম, নড়াইল : নড়াইল সদর থানা ১২ নং বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের এবারের নির্বাচন যেন বড়োধরণের একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষ করে এলাকার সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের কাছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততোই উৎকন্ঠা, চিন্তা ও হতাশা যেন গ্রাস করেছে ইউনিয়নের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে।

অন্যদিকে গরম হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। তা সেই চায়ের দোকান থেকে শুরু করে নানা শ্রেনীর নানা পেশার মানুষের মাঝে চলছে জল্পনা কল্পনা, কি হতে চলেছে এবারের বিশেষ করে ১২ নং বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে, কে হবেন চেয়ারম্যান? সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত পথে ঘাটে চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, চায়ের কাপে বইছে নির্বাচনী ঝড় ।

নড়াইলের সদর থানাধীন বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নমিনেশন ক্রয় ও টাকা জমা দেয়ার পর বিছালী ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে প্রার্থীদের প্রচারণা জমে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম গ্রামীণ জনপদ। গ্রামে গ্রামে গিয়ে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ভোটারদের কাছে দোয়া চাচ্ছেন তাঁরা।

সম্প্রতি কথা হয় নানা শ্রেণি-পেশার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইউনিয়নে দিন–রাত প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। মুঠোফোনে খুদে বার্তায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও চলছে প্রচারণা।

প্রার্থীরা কেউ দলীয় পরিচয়ে, কেউ বিগত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার দাবি করে, কেউ মসজিদ-মন্দির, ক্লাব-সমিতির উন্নয়নে অর্থ সহায়তা দিয়ে, কেউ উন্নয়নের নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন।

ভোটাররাও সম্ভাব্য এই প্রার্থীদের এসব তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করছেন। তাঁদের প্রত্যাশা, সৎ, যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিদের প্রতি সমর্থন দেবে।

ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে নৌকার পক্ষে মনোনয়ন পেয়ে প্রচার চালাচ্ছেন মো: ইমারুল গাজী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন বিগত নির্বাচনে নৌকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান এস.এম আনিসুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: ফারুক হোসেন হেমায়েত। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফর রহমান।

বিছালী ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জের হাট বাজারে চায়ের দোকানে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাথে কথা বলে জানা গেছে বিগত দিনে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মাছের ঘেরে রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ চুরি ও লুটপাট করা হয়েছে। চেয়ারম্যান শেখ আনিসুল ইসলাম এর প্রশাসনিক সহযোগিতা ও দক্ষতার কারণে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের লোকজন এ সকল বিপদ আপদে রক্ষা পেতেন।

সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের লোকজন চেয়ারম্যান শেখ আনিসুল ইসলাম এর আমলে খুবই শান্তিতে বসবাস করে আসছিল, কিন্তু বর্তমানে তারা দুঃশ্চিন্তায় ভুগছেন কি আছে তাদের ভাগ্যে? বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন যেন এবার বড়ো একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের কাছে । বিশেষ করে আড়পাড়া, পূর্বপাড়া, খলশেখালী, বন খলশেখালী, রুনদিয়া, আটঘরা, মালা ধরা,ও বড়াল গ্রামের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের কপালে চিন্তার ভাজ এতো দিন তো শেখ আনিসুল ইসলাম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা সুখ শান্তিতে বসবাস করেছেন এখন কি আছে তাদের ভাগ্যে? চেয়ারম্যান শেখ আনিসুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপে এলাকায় যে সকল বিচার সালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে কোন প্রকার পক্ষ পাতিত্ত হয় নাই ইউনিয়ন বাসী ন্যায্য বিচার পেয়েছেন।

করোনা সংক্রামণ কালেও বিছালী ইউনিয়ন বাসীর বাড়ি বাড়ি চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের প্রত্যাক্ষ পর্যবেক্ষণে সাহায্য সহোযোগিতা পৌঁছে গেছে।

চেয়ারম্যান ও তার কাউন্সিলর রা করোনা সংক্রামণের ভয়কে জয় করে নিজের জীবন মায়া ত্যাগ করে দাড়িয়েছেন ইউনিয়নর অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে। খাবার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন গরীব ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে।

আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপে দেশের ৮৪৮টি ইউপিতে ভোট হবে। (২৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের কমিশন বৈঠক শেষে সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিলো ১৭ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২০ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ছিল ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৭ অক্টোবর এবং ভোট গ্রহণ ১১ নভেম্বর।

উল্লেখ্য, ১২নং বিছালী ইউপি নির্বাচন নিয়ে মাঠপর্যায়ে গোপনে ও সরেজমিনে আমাদের টিম জরিপ চালাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা, ভোটারদের কথা, প্রার্থীদের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি-বক্তব্য ও করণীয় এবং জনমত সহ নির্বাচন নিয়ে পরবর্তীতে সার্বিক পরিস্থিতি সহ বিস্তারিত বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।