জামিনে বের হয়েই পল্টনে পুলিশের ওপর বোমা হামলা

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর দারুস সালাম মিরপুর মাজার রোড এলাকা থেকে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছিরকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। সিটিটিসির দাবি, আবু বাছির গত ২৪ জুলাই, পল্টনে পুলিশের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট থানার মেরকোট গ্রামে। তার বাবার নাম আবু তাহের।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর দারুসসালাম থানার মিরপুর মাজার রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘গ্রেফতার আব্দুল্লাহ আল নোমান নব্য জেএমবির বর্তমান সামরিক শাখার একজন সক্রিয় দায়িত্বশীল সদস্য। সে মূলত নব্য জেএমবির আমীর মাহাদী হাসান ওরফে জনের নির্দেশে সামরিক শাখায় কাজ করতো। ২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে দাওয়াত পেয়ে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয় এবং ফেসবুকে সদস্য সংগ্রহসহ উগ্রবাদী কার্যক্রম চালাত। সে টেলিগ্রাম চ্যানেল ও বটের মাধ্যমে নব্য জেএমবির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগঠনের সামরিক শাখার কাজ পরিচালনা করতো।’
‘সংগঠনের অপর সদস্য আবু মোহাম্মদের নির্দেশে আব্দুল্লাহ আল নোমান ঢাকার মান্ডা এলাকায় এককভাবে রুম ভাড়া করে। আবু মোহাম্মদ তাকে আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর ভিডিও টেলিগ্রাম অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠায়। আইইডি তৈরির ভিডিও দেখে সে এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে এবং পরবর্তীতে আবু মোহাম্মদ, আব্দুল্লাহ্ আল নোমান ওরফে আবু বাছিরকে আইইডি বানানোর জন্য টাকা দিলে সে ভিডিও দেখে আইইডি তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করে এবং আইইডি তৈরি করে’, বলেন মো. আসাদুজ্জামান।
জেএমবির পক্ষ থেকে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে তার পছন্দমত এলাকায় ওই আইইডি দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার নির্দেশ দেওয়া হয় জানিয়ে সিটিটিসি প্রধান, ‘ওই নির্দেশ পাওয়ার পর পল্টন এলাকাটি তার পূর্ব পরিচিত ও চাকরির স্থান হওয়ায় সে এই স্থানটি বেছে নেয়। পল্টন মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টের আশেপাশে সিসি ক্যামেরা না থাকায় সে স্থানটি রেকি করে। এরপর গত ২৪ জুলাই তার তৈরিকৃত আইইডি পুরানা পল্টন মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টের সামনে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সংক্রান্তে পল্টন থানায় একটি মামলা হয়েছিলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছির ২০১৮ সালে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো। সে একবছর তিন মাস পরে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় নব্য জেএমবির সঙ্গে সক্রিয় হয়।’


বিজ্ঞাপন