আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৩ নভেম্বর, ২০২১-এ বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জেল হত্যা’ দিবস পালন করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসির সভাপতিত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি ও উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার, এম. মুর্শীদুল হক খান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর তানভীর কবির।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন যে, ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,তাঁর পরিবারের সদস্য ও কতিপয় আত্মীয়কে নৃশংসভাবে হত্যার বর্বরোচিত ঘটনার পর ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতা সর্বজনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে আরো একটি কলঙ্কজনিত অধ্যায়। তিনি বলেন, জাতীয় চার নেতা আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তাদের চিরস্মরণীয় আদর্শ।
তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তথা জাতির পিতার পাকিস্থানস্থ জেলে অন্তরীনকালীন সময়ে মুজিবনগর সরকার গঠন, প্রবাসে মুজিবনগর সরকার পরিচালনায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে তাদের অবিস্মরণীয় ভূমিকা , স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ- বিধ্বস্ত দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা তথা তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, ত্যাগ, প্রজ্ঞা, মেধা এবং অতুলনীয় দেশপ্রেমের বিষয়গুলো তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, ঘাতকশ্রেণী চার নেতাদের হত্যার মাধ্যমে জাতির পিতার আদর্শকে নিভিয়ে দিতে পারেনি।
অবশেষে, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার নেতৃতে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে এবং ২০৪১ সনের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে পরিগণিত হওয়ার বিষয়ে প্রত্যয়ী।
পরিশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার এবং জাতীয় চার নেতা সহ সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয় ।
অনুষ্ঠানে যোগদানকৃত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে করোনাকালীন সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ ও সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।