গুলিবিদ্ধ কক্সবাজার শ্রমিক লীগ সভাপতির মৃত্যু

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মারা গেছেন। রোববার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার লিংক রোডে তার ছোট ভাই কুদরত উল্লাহ সিকদারের অফিসে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হন।
এসময় জহিরুল ইসলাম ছাড়াও তার ছোট ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা কুদরত উল্লাহ সিকদারসহ আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
শুক্রবার রাতেই জহিরুল ইসলাম ও কুদরত উল্লাহ সিকদারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুনির উল গীয়াস জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জহিরুল ইসলাম আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে মারা গেছেন বলে তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ বা মামলা দেয়নি।
এদিকে জহিরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংক রোড এলাকায় তার সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ওখানকার সকল দোকানপাট।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের লিংক রোড এলাকায় কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ভাই কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও আসন্ন নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদারের অফিসে একদল দুর্বৃত্ত গুলি চালায়।
এ সময় তারা নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে ব্যক্তিগত অফিসে সহকর্মীদের সাথে কথা বলছিলেন তারা। মোটরসাইকেলে করে আকস্মিক এসে সরাসরি কুদরত উল্লাহ সিকদার ও জহির উল্লাহ সিকদারকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তের দল পালিয়ে যায়। এতে তারা দুজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে।
এসময় কুদরত উল্লাহ সিকদারের আর দুই জন ঘনিষ্ঠ সহকারী ও তার গাড়ির ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। ঘটনার পর পরই আশেপাশের লোকজন আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহতদের চিকিৎসা দেয়।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীন আব্দুর রহমান জানান, আহতদের মধ্যে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম এবং তার ছোট ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপর আহত কুদরত উল্লাহ সিকদার চিকিৎসাধীন রয়েছে।


বিজ্ঞাপন