দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ৬টি অভিযোগের বিষয়ে (২টি অভিযান, ৪টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ) পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক : নওগাঁর বাদলগাছী ৫ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২০১৯-২০ অর্থবছরের হাট, ঈদগাঁ মাঠ ও রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না করে প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন পূর্বক আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমিন এর নেতৃত্বে বুধবার ১০ নভেম্বর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম সরেজমিনে উক্ত স্থান সমূহ পরিদর্শন করে এবং অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। দুদক টিম একজন নিরপেক্ষ প্রকৌশল দ্বারা
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিমাপ করা হয়েছে। উন্নয়ন সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। প্রকল্প দৃশ্যমান হলেও কতটুকু কাজ হয়েছে তা যাচাইয়ে জন্য সকল তথ্য বিশ্লেষণ পূর্বক প্রকৌশলীর মতামত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন খুলনা-যশোর মহাসড়ক নির্মাণে ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযােগের ভিত্তিতে দুদক সজেকা, যশোর-এর উপপরিচালক মোঃ নাজমুচ্ছায়াদাত-এর নেতৃত্বে আজ অপর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম সরেজমিনে খুলনা-যশোর সড়কের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাথে কথা বলে। কর্তৃপক্ষ টিমকে জানায় যে, সড়কের উন্নয়ন কাজ বর্তমানে চলমান আছে এবং এই কাজের মেয়াদ রয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। ২০২০ সালের সম্পূর্ণকৃত সড়কের কিছু অংশে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচলের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন পুনরায় মেরামত করেছে।
সম্পূর্ণ প্রকল্প নিয়ে ইতোমধ্যে দুদক কর্তৃক একটি অনুসন্ধান চলমান আছে। টিম এ ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৪টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।