সাংবাদিক তুহিন হত্যা ও আনোয়ারের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে মিরপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :   গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাহসী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন কে নির্মমভাবে হত্যা এবং দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন-এর ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)।


বিজ্ঞাপন

আজ  শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা’র সম্পাদক খান সেলিম রহমান-এর নেতৃত্বে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন

এই সময় বক্তারা সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন কে জবাই করে হত্যা ও সাংবাদিক আনোয়ারকে মধ্যযুগীয় কায়দায় ইট দিয়ে থেঁতলে আহত করায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।


বিজ্ঞাপন

এ-সময় বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন,  “সাংবাদিকদের ওপর একের পর এক হামলা ও হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে যে, দেশে গণমাধ্যমকর্মীরা আজ ভয়াবহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।


বিজ্ঞাপন

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন-কে নৃশংসভাবে হত্যা এবং সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন-এর উপর বর্বরোচিত হামলা শুধু ব্যক্তি নয়—এটি গোটা সাংবাদিক সমাজ, স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত মত প্রকাশের উপর সরাসরি আঘাত।”

“একজন সাংবাদিক তার দায়িত্ববোধ থেকে সমাজের কিছু লোকের কুৎসিত চিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন—আর সেই দায়েই তার জীবন দিতে হলো! আরেকজনকে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশের জের ধরে পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে ইট দিয়ে থেঁতলে রক্তাক্ত করা হলো! এটা কোনো সভ্য রাষ্ট্রে মেনে নেওয়া যায় না।”
“আমি জোরালোভাবে বলতে চাই—সাংবাদিক হত্যা ও হামলার ঘটনা কোনোভাবেই আইনের আওতার বাইরে থাকতে পারে না। এই হামলার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

“বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C) সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, এবং সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা কোনো আপস করবো না।

“আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—এই ঘটনাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিন, দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করুন। সাংবাদিকদের রক্ত যেন আর না ঝরে, মায়ের কোল যেন আর শূন্য না হয়।”

“আমরা চাই, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠন হোক, যেখানে প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। আর কোনো সাংবাদিক যেন হত্যা বা হামলার শিকার না হয়—এটাই আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।”

প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন— দৈনিক গণজাগরণ পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক ও মিরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিহাব উদ্দিন,দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জাকির হোসেন মোল্লা,বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব উদ্দিন ,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শফিকুর রহমান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন খান,সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন মুন্না,বিনোদন বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমেদ তপু,সাংবাদিক রাকিব সোহান।

এছাড়াও মিরপুর সম্মিলিত সাংবাদিক জোট এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের গণমাধ্যমকর্মীরা এ কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা হাতে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়ান।

প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল,  “সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করো” “তুহিন হত্যার বিচার চাই” “গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ চলবে না” “হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক ”

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যদি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় না আনা হয়, তাহলে দেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *