নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। অবৈধ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারীদের নির্মূলের কৌশলগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।’
বুধবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বন অধিদফতর এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি আয়োজিত ‘বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে আইন প্রয়োগ শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পরামর্শ সভা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বন অধিদফতরের নেতৃত্বে বন্যপ্রাণী অপরাধ উদঘাটন, শনাক্তকরণ এবং বিচারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সক্ষমতা জোরদার করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে। বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে সরকারের প্রচেষ্টাকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সবার সহায়তায় বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনের লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতেই হবে।’
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরামর্শক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে আইন প্রয়োগ শক্তিশালীকরণে করণীয় বিষয়ে ইউএসএআইডি, ইউএনওডিসি এবং এনজিও ব্যুরোসহ বিভিন্ন সংস্থা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘যৌথভাবে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সেক্টরগুলোর মধ্যে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের লক্ষ্যে প্রণীত আইন-কানুন, কর্মসূচি এবং প্রকল্প কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’ তিনি এ সময় বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণকারীদের নির্মূল করার বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বন্যপ্রাণী অপরাধের নেতিবাচক পরিণতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বন্যপ্রাণী অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আমাদের নিজেদের স্বার্থে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’