ড্যাপের খসড়ায় যুক্ত করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা তারা দিয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত খসড়ায় প্রস্তাবগুলো না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মোবাশ্বের হোসেন, সভাপতি, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীকে নতুন রূপে সাজাতে ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ প্রণয়ন করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০১৬-৩৫ সাল মেয়াদি এই পরিকল্পনার খসড়া এরই মধ্যে চূড়ান্তের পথে। ডিসেম্বর নাগাদ গ্যাজেট আকারে প্রকাশ হবে। প্রস্তাবিত ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে রাজউকের ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার চেহারা অনেকখানিই বদলে যাবে। তবে এতে কিছু আপত্তিও রয়েছে নগর পরিকল্পনাবিদদের।
বিশদ এই অঞ্চল পরিকল্পনায় নিয়ন্ত্রিত মিশ্র ভূমির ব্যবহার থেকে শুরু করে যোগাযোগ, ট্রানজিটভিত্তিক উন্নয়ন, স্কুলভিত্তিক জোন, জনঘনত্ব বিন্যাস পরিকল্পনা, জলভিত্তিক বিনোদন, সাশ্রয়ী আবাসনের সম্ভাব্য লোকেশন চিহ্নিতকরণ, প্লাবন ভূমি ব্যবস্থাপনাসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে। তবে কেউ কেউ বলছেন, ড্যাপ বাস্তবায়ন রাজউকের হাতে নয়, বরং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা সিটি করপোরেশনের কাছে দেওয়া উচিত।
নতুন প্রস্তাবে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের প্রায় এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে একটি আধুনিক মহানগরী গড়ে তুলতে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণীত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরের জন্য প্রস্তুতকৃত প্রথম বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০১০ সালের ২২ জুন গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। পরিকল্পনাটির মেয়াদ ছিল ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এরপর ২০১৫ সালের মার্চে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০১৬-২০৩৫ প্রণয়নের কাজ শুরু হয়ে এখন তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
ড্যাপ পরিচালক জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এবং ড্যাপ রিভিউ মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলামের উদ্যোগে ড্যাপ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবিদ, রিহ্যাব, বিএলডিএ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার মেয়রসহ সকল পক্ষের মতামত সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়া খসড়া বিশদ পরিকল্পনার ওপর চারমাস ধরে গনশুনানি থেকে মতামত পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন পরিমার্জন করা হয়েছে।
ড্যাপে ভূমি ব্যবহার প্রস্তাবনায় ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৬০ শতাংশ এলাকাকে নগর ধরা হয়েছে। এতে আবাসিক এলাকা ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (আবাসিক প্রধান) ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (আবাসিক-বাণিজ্যিক) শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ, বাণিজ্যিক এলাকা শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (বাণিজ্যিক প্রধান) ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (শিল্প প্রধান) ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক এলাকা ৪ দশমিক ১ শতাংশ, ভারী শিল্প এলাকা ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, পরিবহন যোগাযোগ (বিদ্যমান) ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, পরিবহন যোগাযোগ (প্রস্তাবিত) ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, কৃষি এলাকা ২৯ দশমিক ২২ শতাংশ, জলাশয় ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বনাঞ্চল ১ দশমিক ৪১ শতাংশ, উন্মুক্ত স্থান ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ রাখা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রিত মিশ্র ভূমি ব্যবহার: পরিবেশের কথা মাথায় রেখে মিশ্র ভূমি ব্যবহারের জন্য কিছু নিয়ম, বিধিবিধান সুপারিশ করা হয়েছে। ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকাসহ কৃষি, প্রাতিষ্ঠানিক, জলাশয়, বনাঞ্চল, উন্মুক্ত স্থান, বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা ও ট্রানজিট ভিত্তিক উন্নয়ন: ড্যাপ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এখন আন্তআঞ্চলিক সংযোগকারী রাস্তা রয়েছে প্রায় ২২৮ কিলোমিটার। নতুন প্রস্তাবিত ড্যাপে আরও প্রায় ৬৩ কিলোমিটারসহ মোট ২৯১ দশমিক ৭৪৩ কিলোমিটার রাস্তা প্রস্তাব করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ আঞ্চলিক সংযোগ রাস্তা রয়েছে ২৪৭ দশমিক ৫৫৫ কিলোমিটার। নতুন ড্যাপে ২৫১ কিলোমিটার বাড়িয়ে মোট ৪৯৮ দশমিক ৬২৮ কিলোমিটার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সংগ্রাহক রাস্তা রয়েছে দুই হাজার ৭৪ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার। নতুন ড্যাপে ৩৪২ দশমিক ৬৫৮ কিলোমিটার বাড়িয়ে তিন হাজার ২০৭ দশমিক ৬৬৯ কিলোমিটার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে বিদ্যমান দুই হাজার ৫৫০ দশমিক ০১১ কিলোমিটার রাস্তার সঙ্গে নতুন ৬৫৭ দশমিক ৬৫৮ কিলোমিটার রাস্তা বাড়িয়ে তিন হাজার ২০৭ দশমিক ৬৬৯ কিলোমিটার রাস্তার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (আরএসটিপি) (২০১৫-২০৩৫) এবং খসড়া ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যানে তিনটি রিং রোডের প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়া বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় দুটি রিং রোডের অবস্থান বাস্তবতার নিরিখে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হলে ঢাকার ওপর অতিরিক্ত চাপ কমাতে রিং রোডগুলো ভূমিকা রাখবে। মেট্রো স্টেশন, রেলওয়ে স্টেশন, বাস টারমিনাল বা নদীবন্দরকে কেন্দ্র করে এর সংলগ্ন এলাকা মূলত ট্রানজিটভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট এলাকা হিসাবে প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
পথচারী ও অযান্ত্রিক যান চলাচলের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অগ্রাধিকারমূলকভাবে ২০২ কিলোমিটার সাইকেল লেন নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে ড্যাপে।
বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় নদী, খালসহ প্রাকৃতিক জলাশয়ের সমন্বয়ে নৌচলাচলের পথ (ব্লু নেটওয়ার্ক) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনা করা হয়েছে। সড়কপথের পাশাপাশি উপেক্ষিত জলপথকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫৭৪ কিলোমিটার নৌ-চলাচলের উপযোগী নৌপথ উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা করা হয়েছে। প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে ২৩টি খাল উন্নয়ন প্রকল্প সুপারিশ করা হয়েছে। যেগুলোকে দখলমুক্ত ও সংস্কার করে বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত করার কথা বলা হয়েছে।
স্কুল ভিত্তিক জোনিং: ড্যাপে সকল গোষ্ঠীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পূর্ণাঙ্গ খেলার মাঠসহ বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার জন্য অঞ্চলভিত্তিক ৬২৭টি বিদ্যালয় এবং ২৮৭টি হাসপাতালের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জনঘনত্ব বিন্যাস পরিকল্পনা: ঢাকার কেন্দ্রে জনসংখ্যার চাপ কমাতে বিভিন্ন এলাকায় সুষম উন্নয়ন এবং মেট্রোপলিটন এলাকাকে বাসযোগ্য গড়ে তুলতে বিদ্যমান ধারণক্ষমতা, সড়ক অবকাঠামোর ধারণক্ষমতা, বিদ্যমান নাগরিক সুবিধার ওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনায় এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব জোনিং প্রণয়ন করা হয়েছে।
এরমধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় এলাকার (উত্তর ও দক্ষিণ সিটি) জন্য প্রতি একরে ২০০ জন, পুরান ঢাকায় প্রতি একরে ২৫০ জন; গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, পূর্বাচল, ঝিলমিল নগর এলাকার জন্য প্রতি একরে ১৮০ জন, অন্যান্য নগর এলাকার জন্য প্রতি একরে ১৫০ জন (কৃষি এলাকা ছাড়া); আবাসন চাহিদা পূরণে প্লটভিত্তিক উন্নয়নের পরিবর্তে ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন পদ্ধতির সুপারিশ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, যেহেতু নগর এলাকায় জায়গার স্বল্পতা আছে, তাই কম জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এই পদ্ধতির প্রয়োগ জরুরি। ব্লকভিত্তিক আবাসন পদ্ধতির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছোট ছোট প্লট এক করে বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণে উৎসাহিত করা।
জল-বিনোদন: পরিবেশবান্ধব শহর তৈরির লক্ষ্যে পরিকল্পনায় পাঁচটি বড় আঞ্চলিক পার্ক, ৪৯টি জলকেন্দ্রীক পার্ক, আটটি বৃহৎ ইকোপার্ক (ভাওয়াল বনসহ), ৯টি অন্যান্য পার্ক এবং খেলার মাঠ নির্মাণের প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
সাশ্রয়ী আবাসনে সম্ভাব্য লোকেশন: ড্যাপে নি¤œ ও নি¤œমধ্যবিত্তের আবাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনায় সাশ্রয়ী আবাসনের লক্ষ্যে ৫৪টি লোকেশনের চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্লাবনভূমি ব্যবস্থাপনা: প্লাবনভূমি এলাকাকে বিচ্ছিন্ন স্বত্ত্বা না ভেবে পানি এবং ভূমির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে এবারের পরিকল্পনায়। পানির সঙ্গেই বসবাস—এমন ধারণা বিবেচনা নিয়ে শর্ত সাপেক্ষে শুধু সাধারণ জলস্রোত এলাকায় স্থাপনা অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে মুখ্য জলস্রোত এলাকায় ভূমিরতল উন্নতিকরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যান্য প্রস্তাবনা: ড্যাপে পুরান ঢাকার বিভিন্ন সাইট চিহ্নিত করে ‘আরবান রিডেভেলপমেন্ট প্রকল্প’ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। জনমানুষের নিরাপত্তা বিঘœকারী রাসায়নিক গুদামগুলো পর্যায়ক্রমে স্থানন্তরের সুপারিশ করা হয়েছে। বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে ঢাকার জন্য সাংস্কৃতিক বলয় তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিকল্পনায় তালিকাভুক্ত কেপিআই ও হেরিটেজ জোনের অবস্থান চিহ্নিত করে এর বলয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ করে সেগুলোকে পর্যটন ও বিনোদনের কেন্দ্রে পরিণত করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা এলাকার জন্য মূলত ঐতিহাসিক স্থাপনা, কৃষিজমি, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল বা সংবেদনশীল এলাকা সংরক্ষণে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় উন্নয়ন স্বত্ত্ব-বিনিময় পদ্ধতি ট্রান্সপার অব ডেভেলপমেন্ট রাইট (টিডিআর) সুপারিশ করা হয়েছে।
নগর গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ড্যাপ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে থাকা উচিত। অবশ্যই রাজউকের সঙ্গে পরামর্শ করেই তারা কাজটা করবে।
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ড্যাপের খসড়ায় যুক্ত করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা তারা দিয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত খসড়ায় প্রস্তাবগুলো না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল অভিযোগ করে বলেন, ড্যাপ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই অনেক দখলদারকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এটা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
ড্যাপ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। সংগঠনটির সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) বলছেন, প্রস্তাবিত ড্যাপ (২০১৬-৩৫) এবং সংশ্লিষ্ট খসড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০২১ বাস্তবায়িত হলে ভবনের আয়তন এখন যা অনুমোদন হচ্ছে তা থেকে কমপক্ষে ৩৩-৫৩ শতাংশ হ্রাস পাবে। এতে বেড়ে যাবে ফ্ল্যাটের দাম, অধরা থেকে যাবে নাগরিকদের বাসস্থানের স্বপ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ ক্রেতা ও জমির মালিকসহ আবাসন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নতুন ড্যাপে কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে যা অবশ্যক ছিল। তবে উদ্যোগগুলো কতটা বাস্তবায়ন হবে তার ওপর নির্ভর করবে এই শহরের ভবিষ্যৎ।
ড্যাপ প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘২০৩৫ সালে ঢাকা কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেটা বিবেচনা করে প্ল্যান সাজিয়েছি আমরা। কোনও এলাকায় যেন সুযোগ-সুবিধার তুলনায় অধিক জনবসতি তৈরি না হয় সেজন্য আমাদের পরিকল্পনায় রাস্তার প্রশস্ততার আলোকে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে সব শ্রেণিপেশার মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। একাধিক সভা সেমিনার হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের হেঁটে যাতায়াতের সুযোগ ও নৌপথকে কাজে লাগানোকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি।’