কাউন্সিলর হত্যার ঘটনায় উত্তেজনা

অপরাধ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিজ কার্যালয়ে কাউন্সিলর ও তার সহযোগীর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এসময় নগরীর পাথরিয়াপাড়া ও সুজানগর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, শতাধিক বাড়ি-ঘর, অফিস ও দোকানপাটে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আতঙ্কে সুজানগর পূর্ব পাড়া এলাকার কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাস অফিসের কর্মচারী শাহিনুর ইসলাম (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত শাহিনুরের বড় ছেলে মো. সানজিদ বলেন, বাবা অসুস্থ ছিলেন। রাত ৮টার দিকে একদল লোক এলাকায় হামলা চালায়। হামলার সময় বাবা বাসায় ছিলেন। তিনি হামলা-ভাঙচুরের বিকট শব্দে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে কুমিল্লা নগরীর ময়নামতি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে, চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এই বিষয়ে আমি কোনো অভিযোগ করিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলের কার্যালয়ে প্রবেশ করে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে তিনিসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। অপরজন হরিপদ সাহা (৫০)। এ ঘটনায় আরও ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন। তিনি নগরীর সুজানগর এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে। হরিপদ সাহা নগরীর সাহাপাড়া এলাকার রমনী মোহন সাহার ছেলে।
গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই এলাকার আওলাদ হোসেন রিজু, জুয়েল, রাসেল,মাজেদুল হক ও সোহেল চৌধুরী।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয়, পুলিশ সুপার সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে। সবাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


বিজ্ঞাপন