রাজশাহীর মেয়রকে বিশাল গণসংবর্ধনা

রাজশাহী

রাজশাহী প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার অন্যতম সারথী জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের আয়োজনে গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

শনিবার মহানগরীর বাটার মোড়, সাহেব বাজারে এই গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও শ্রেণীপেশার সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত হন জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

অনুষ্ঠানে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে সম্মাননা স্মারক, ফুলের শুভেচ্ছা ও মানপত্র প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধিত করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। এরপর পর্যায়ক্রমে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ রাসিক মেয়র লিটনকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, সদস্য আখতার জাহান সহ বিভিন্ন সাংসদবৃন্দ ও বিভিন্ন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের পরিবারের পক্ষে তাঁর কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা বক্তব্য দেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা যথাযথভাবে পালন করে মানুষের কল্যানে কাজ করে যাব। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমি আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যেতে পারি।’ গতকাল শনিবার ১১ ডিসেম্বর বিকেলে বাটার মোড়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এই কথা বলেন তিনি।

এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমার যে মেধা আছে, যে বুদ্ধি আছে, সেটা দিয়ে আমি আওয়ামী লীগ নামক বটবৃক্ষের গোড়ায় এক ফোটা পানি ঢালতে পারি, তবেই আমার জীবন সার্থক হবে। রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের কল্যানে কাজ করে যেতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেই গুরু দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে, সেই উপলক্ষে আজকে এখানে এসেছেন আমাকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন, আপনারা আমাকে না, সংবর্ধনা দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগকে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যে চোখ দিয়ে তাঁর কর্মীদের নেতৃত্বের পর্যায়ে নিয়ে আসেন। সেই চোখে আমার দিকে তাকিয়েছেন।

চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি। বঙ্গবন্ধু কন্যা যিনি দেশ গড়ছেন, শুধু দেশ নয়, দলকে পরিবর্তন করছেন, দলকে আরও মানুষের কাছে নিয়ে যাবার জন্য নেতৃত্ব বাছাই করে নিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত থেকে উন্নততর হিসেবে গড়ে উঠছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমার পিতা জাতীয় চার নেতার অনত্যম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা নিয়ে সমগ্র উত্তরবঙ্গের মানুষকে উজ্জীবিত করতেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথামতো আমি কাজ করে যাব।’

তিনি বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীগ রাজশাহী মহানগর শাখার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে আমি আমার যাত্রা শুরু করি। সেই থেকে যাত্রা শুরু।

সবচেয়ে তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনীতি থেকে নানা চড়াই উৎড়াই, লড়াই সংগ্রাম, সুখের দিন, দুঃখের দিন পেরিয়ে রাজপথ কাপিয়ে রাজশাহী থেকে বিএনপি জামাতকে বিতাড়িত করেছি স্বমুলে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ৩২নং ধানমন্ডীতে নিহত সকল শহীদদের প্রতি, মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের প্রতি, রাজশাহীতে শায়িত হযরত শাহ মখদুম, হযরত শাহ তুরকান রহ: পবিত্র আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করেন রাসিক মেয়র।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, বগুড়াও জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রুয়েট উপাচার্য, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ৫টি থানা আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ৩৭টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসমূহ যথাক্রমে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ,যুব মহিলা লীগ, মহানগর, রাবি, রুয়েট, মেডিকেল ও রাজশাহী কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শাখা ছাত্রলীগ, মহানগর তাঁতী লীগ, বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার সর্বস্তরের জনসাধারণ।