বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্ক বাংলাদেশের জন্য সত্যিই গর্বের

আন্তর্জাতিক জাতীয়

বিশেষ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন- ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্ক বাংলাদেশের জন্য সত্যিই গর্বের এবং বাঙ্গালী জাতির জন্য অনেক সম্মানের।


বিজ্ঞাপন

সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু বুলভার্ডের চার রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন এবং কেচিউরান এলাকায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্ক এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু নিজ দেশেরই নেতা ছিলেননা, তিনি ছিলেন তৃতীয় বিশ্বের গণমানুষের মহান নেতা।

মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব, তাঁর চেতনা অবিনশ্বর। তাই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবহমান থাকবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী চলাকালে ডিএনসিসি ও আঙ্কারা দুই সিটি মেয়রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তুরস্কের রাজধানীতে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্ক এর উদ্বোধন করতে পারায় একজন বাঙ্গালী হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সকালেই আঙ্কারার মেয়র মনসুর ইয়াবাসের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নগর ব্যবস্থাপনার নানান অভিজ্ঞতা পরস্পরের মাঝে বিনিময় হয়। তিনি ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে অধিকতর ফলপ্রসূ করতে আঙ্কারার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান।

মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে অর্থনৈতিক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, কারিগরী, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প ও বাণিজ্য প্রভৃতি বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় সিস্টার কনসার্ন হিসেবে কাজ করতে দুই সিটি মেয়রই একমত পোষণ করেন।

তিনি বলেন, বনানী এলাকায় তুরস্কের জাতির জনকের নামে একটি সড়ক রয়েছে যার নাম কামাল আতাতুর্ক সরণি। সম্প্রতি কামাল আতাতুর্ক সরণি সংলগ্ন পার্কটিও কামাল আতাতুর্ক এর নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, তাঁর এই সফর আঙ্কারার সাথে ডিএনসিসির বিশেষ করে তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ. কে. আব্দুল মোমেন, আঙ্কারার গভর্নর ওয়াসিপ শাহীন, আঙ্কারার ডেপুটি মেয়র সেলিম সিরপান লৌ, আঙ্কারার মেয়র মনসুর ইয়াভাস এবং তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাসুদ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।