নেতাকর্মীদের ঢল, তীব্র যানজট
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। এরপর শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড এবং মিরপুর রোড হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ এর ঐতিহাসিক ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে কর্মসূচিতে অংশ নিতে দুপুর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যানার, ফ্যাস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে জড়ো হন।
শোভাযাত্রা সফল করতে ঢাকার উত্তর প্রান্ত থেকে কর্মসূচিতে যোগদান করতে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের হাতিরঝিল, মগবাজার ও মৎস্য ভবনের সড়ক এবং ঢাকার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের গুলিস্তান, হাইকোর্ট মাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়কগুলো ব্যবহার করেন। তবে সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কর্মসূচিতে অংশ নিতে বলা হলেও সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা গেছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সঙ্গে একযোগে সারাদেশে বিজয় শোভাযাত্রার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিজয় র্যালি বের করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। র্যালিতে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে অংশ নেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে শাহবাগসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টা থেকেই ব্যানার, ফ্যাস্টুন, পতাকা, নৌকা, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে র্যালিতে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টায় র্যালিটি শুরু হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে দুটি ট্রাকে বানানো হয়েছে মঞ্চ। বিজয় র্যালি উপলক্ষে পুরো এলাকায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে।
এদিকে, বিজয় র্যালির কারণে বিকল্প সড়কে যান চলাচল করছে। এই র্যালি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্সল্যাব হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হবে। র্যালি শুরুর পর থেকে এসব এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও এসব এলাকায় যান চলাচল করতে পারছে না।
সামসুল হক নামে বেসরকারি এক চাকরিজীবী বলেন, ‘বাইক নিয়ে দেড় ঘণ্টা ধরে শাহবাগে একই জায়গায় বসে আছি। কোনোভাবেই নড়তে পারছি না। এই সড়ক পার হতে কত সময় লাগবে বলা যাচ্ছে না।’