নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথসভা হয়েছে। গতকাল সোমবার দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমন্ডিতে এ সভা হয়। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকেন্দ্রিক দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত বলছে, নির্বাচনে অংশ নেবে না। কিন্তু তারা বিভিন্ন কৌশল করছেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের মুঠোফোনে কল দিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সবাইকে একযোগে নৌকার পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন। আ’লীগ সভাপতি বলেন, প্রার্থী অনেকেই আছেন কিন্তু একজনকে যেহেতু মনোনয়ন দিতে হবে তাই আমি আইভীকে দিয়েছি। আইভী নৌকার প্রার্থী, সবাই নৌকার বিজয়ে কাজ করবেন এটাই আমি চাই। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা একযোগে হাত নেড়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে দেখলাম একজন নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাবি করছেন। আসলে তিনি বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। ঢাকার পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নির্বাচনের জন্য আ.লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের একটি কমিটি করে দিয়েছেন। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবে এই কমিটি তাদের সহায়তা করবে। তিনি বলেন, আমি আ.লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য। আমি দেখেছি, অনেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাকে নির্বাচিত করাই আমাদের একমাত্র দলীয় আদর্শ ও লক্ষ্য। মনে রাখতে হবে, আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকতে পারে তবে তা হবে পার্টির সমালোচনা কিন্তু পাবলিকলি তা আলোচনায় আসতে পারবে না। দল দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে অদায়িত্বশীল কথাবার্তা পছন্দ করে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সায়েম খান, সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন