ঝালকাঠিতে ‘অভিযান-১০’ নামের লঞ্চে আগুন ক্যানটিন থেকে নয়, ইঞ্জিনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হয়েছে বলে মনে করছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। শনিবার ( ২৫ ডিসেম্বর) সকালে আগুনে পোড়া লঞ্চ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। শাজাহান খান আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের ত্রুটি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে, শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বরগুনার সার্কিট হাউজের ঈদগাঁ মাঠে ৩০ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সেখান থেকে ২ জনের মরদেহ নিয়ে গিয়েছে তাদের পরিবার। বাকি ২৮ জনকে গণকবর দেওয়া হবে নাকি পরিবার নিয়ে যাবে সেটা এখনও জানা যায়নি। এদিকে জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জানাজা শেষে এই ২৮ মরদেহ দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সদর উপজেলার পোটখালী গ্রামের সরকারি গণকবরে দাফন করা হবে এই মরদেহগুলো। এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এতে ৪২ জনের প্রাণহানি ঘটে।