গাজীপুর প্রতিনিধি ঃ গাজীপুর মেট্টোপলিটন এর গাছা থানার কলমেশ্বর এলাকার বহুল আলোচিত অটোচালক আছমত আলী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার করলো পিবিআই গাজীপুর।
জানা গেছে , ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী মোঃ সাগর হোসেন (১৯), পিতা- মোঃ আঃ মজিদ @ হেলাল, সাংকালিপুর (পূর্ব নোয়াবাদ), থানা- করিমগঞ্জ, জেলা- কিশোরগঞ্জ। এ/পি- বোর্ড বাজার, কলমেশ্বর (আবুল খানের বাড়ির ভাড়াটিয়া), থানা- গাছা, জিএমপি, গাজীপুরকে গত ২২ ডিসেম্বর বিকাল অনুমান সাড়ে ৪ টায় নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জাহিন নিটওয়্যার লিঃ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৪ জুন ২০১৯ সালে রাত অনুমান ১০ টার সময় কলমেশ্বর হেলাল এর গ্যারেজ হতে আছমত আলী অটোরিক্সা নিয়ে বের হয়। রাত অনুমান ১২ টা ৫০ মিনিটের সময় গাছা থানাধীন পলাশোনা নদীর পাড়ে অটোচালক আছমত আলী (২৭), পিতা-মৃত সুলতান মিয়া, মাতা-আছিয়া বেগম, সাং-আন্দার পাড়া, থানা- নালিতাবাড়ী, জেলা-শেরপুর, এ/পি- কলমেশ্বর (এমদাদের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ), থানা- গাছা, জিএমপি, গাজীপুর এর রক্তাক্ত মৃতদেহ স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে গাছা থানায় সংবাদ দেয়।
এ সংক্রান্তে নিহতের স্ত্রী মোছাঃ জবেদা (২৫), স্বামী-মৃত আছমত আলী, সাং-সিদলী, আন্দারপাড়া, থানা-নালিতাবাড়ী, জেলা- শেরপুর এ/পি- কলমেশ্বর (এমদাদের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ),
থানা- গাছা, জিএমপি, গাজীপুর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে গাছা থানার মামলানং-২৫ তারিখ-১৫/০৬/২০১৯ ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করেন। মামলাটি গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ প্রায় দুই মাস তদন্তকালীন সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর নির্দেশে পিবিআই গাজীপুর জেলা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
ডিআইজি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার. বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধন ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এর সার্বিক সহযোগীতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সজিবুল হাসান মামলাটি তদন্ত করেন।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী সাগর (১৯) ও তার সহযোগি আসামীগন এক সাথে চলাফেরা এবং তারা প্রায় সময় একত্রে ইয়াবা সেবন করত।
ঘটনার দিন রাত অনুমান ৯ থেকে ১০ টার মধ্যে কলমেশ্বর বাদুরবন নামক জায়গায় তারা একত্রিত হয়ে অটোরিক্সা ছিনতাই করার প্ল্যান করে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তারা বোর্ডবাজার হতে যাত্রীবেশে ভিকটিম আছমত আলীর অটো ভাড়া করে গাছা থানাধীন পলাশোনা নদীর পাড়ের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
পলাশোনা নদীর পাড়ে অটো পৌঁছামাত্র মাত্র আসামী সাগরসহ তার সহযোগি আসামীগন পিছন থেকে অটোচালককে ধরে। তাদের একজন ছুরি দিয়ে অটো চালক ভিকটিম আছমত আলীকে পিঠে, বুকে ও পেটে আঘাত করে মাটিতে ফেলে
দেয়।
আসামীগন অটো নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশেপাশের লোকজন ঘটনার আচঁপেয়ে তাদের ধাওয়া করলে সাগর ও তার সহযোগিগন অটো ফেলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, আসামীগণ একই সাথে চলাফেরা ও তারা প্রায় সময় একত্রে ইয়াবা সেবন করত।
ইয়াবার টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্য তারা অটো ছিনতাই এর প্ল্যান করে। ঘটনার দিন রাতে আসামীরা কে․শলে যাত্রীবেশে আছমত আলীর অটোটি ভাড়া করে গাছা থানাধীন পলাশোনা নদীর পাড়ে নিয়ে যায়।
নদীর পাড়ে পৌঁছামাত্র আসামীরা ভিকটিমকে ছুরি দিয়ে ঘাড়ে, বুকে ও পেটে আঘাত করে হত্যা করে ভিকটিমের অটো নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের লোকজন ঘটনার আচঁপেয়ে তাদের ধাওয়া করলে আসামীরা অটো ফেলে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে গত ২৩ ডিসেম্বর আদালতে সোপর্দ করা হলে উক্ত আসামী নিজেকে জড়িয়ে এবং মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালতে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।