নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মঙ্গলবার ৪ জানুয়ারি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বটবৃক্ষের নাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বাতিঘরের নাম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এমন একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত ঠিকানার নাম যেখান থেকে লক্ষ কোটি মানুষ শিক্ষা নিয়েছে ক্ষমা করার, দেশ গড়ার , নিজের পরিবারকে দেখার।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী কলেজ মাঠে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকলের মুজিব ভাই ছিলেন।
জাতির পিতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সৃষ্টি করেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৃষ্টির আগেই। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলদেশের ইতিহাস।
ছাত্রলীগের ইতিহাস ঠিকমতো জানলে বাংলাদেশের ইতিহাস জানার বাকি থাকবে না। কারণ এই ছাত্রলীগ বারবার বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে, নিপীড়িত হয়েছে, কিন্তু পেছনে ফিরে তাকাইনি।
এই বাংলার মানুষ আগে কখনো আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নেয়নি। সেই বাঙালি জাতিকে উজ্জ্বিবিত করেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর নিদের্শে বাঙালি জাতি হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, স্বাধীনতার পরে ছাত্রলীগের ইতিহাস নানাভাবে প্রবাহিত হয়েছে। রাজনীতিতে চড়াই উৎরায় থাকাটা স্বাভাবিক।
নানা চড়াই উৎরায় পেরিয়ে আজকে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে এমন একটি জায়গায় পৌছে গেছে, সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকানোর কোন প্রয়োজন নেই। আজকে আমরা গর্ব করে বলতে পারি, ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার মধ্যে এশিয়ার মধ্যে অন্যতম দেশ বাংলাদেশ।
করোনকালীন সংকটে রেমিটেন্স, রপ্তানি আয় সব কিছু মিলিয়ে আমরা পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে ভারতকে ছুঁইছুঁই করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
দেশের উন্নয়নের জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সকল সংগঠন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল মানুষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে থাকতে হবে।
সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানকে কণ্ঠে ও অন্তরে চিরতরে ধারণ করে রাখতে হবে। কারণ এই দেশকে আর কখনো পেছনের দিকে অন্ধকারে যেতে দেওয়া যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।
সভার সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম এবং সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ। আলোচনা সভা শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয় এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।