পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুতের রডে ঠিকাদারকে বাড়ি নির্মান, নবীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক ও দালালদের দৌরাত্ম

অন্যান্য এইমাত্র

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ ০৯টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২অভিযান পরিচালনা করা সহ ৭ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিজ বাড়ি নির্মাণে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রড ব্যবহারের অবিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বরিশালের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ-এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারী একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে। টিম কর্তৃক সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানতে পারে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের কাজ সাব-ঠিকাদার হিসেবে করেন।


বিজ্ঞাপন

পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেন্দ্রীয়ভাবে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকা থেকে ক্রয় করা হয়। পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রয়োজনীয় মালামাল (তার, খুটি) চাহিদা মোতাবেক বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়।

পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ/স্থাপনের জন্য তালিকাভুক্ত ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। লাইন স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে বরাদ্দপ্রাপ্ত বিদ্যুতের তার এবং খুটি ঠিকাদারকে সরবরাহ করা হয়। বিদ্যুতের তারসমূহ ড্রাম (দুই-আড়াই ফুট দৈঘ্যের রডের কাঠামোর উপরে কাঠ দিয়ে তৈরী) আকারে থাকে।

লাইন স্থাপন শেষে তারের খালি ড্রামসমূহ বর্জ্য হিসেবে ঠিকাদাররা নিয়ে যায়। বর্জ্য হিসেবে তারের খালি ড্রামের প্রতিটির মূল্য ৫০ টাকা দরে ঠিকাদারের কাজের বিল হতে কেটে করে রাখা হয়। ফলে তারের waste ড্রামে ঠিকাদারের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়।

পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রড সাব-ঠিকাদারের বাড়ির কাজে ব্যবহার সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মোঃ ইসমাইল হাওলাদারের বাড়ি নির্মাণ সরেজমিন পরিদর্শন করেন পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মোঃ খায়রুল ইসলাম।

উক্ত পরিদর্শনে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মোঃ ইসমাইল হাওলাদারের বাড়ির নির্মাণ কাজে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তারের waste ড্রামের রড ব্যবহার করেছেন মর্মে দেখতে পান। উল্লেখ্য, পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোন মালামাল চুরি বা আত্মসাতের তথ্য তথ্যানুসন্ধানেকালে পাওয়া যায়নি।

এমতাবস্থায়, তারের waste ড্রামে ঠিকাদারের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়ায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জনাব মোঃ ইসমাইল হাওলাদার কর্তৃক তার বাড়ি নির্মাণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তারের waste ড্রামের রড ব্যবহার করার বিষয়টি সত্য হলেও এটি ব্যবহারে তার অধিকার রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। এ প্রসঙ্গে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের নির্দেশনা মােতাবেক মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারী দুদক, সজেকা, হবিগঞ্জ এর উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) মাে: এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ পৌর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিভিন অনিয়িম, দুর্নীতি ও দালালদের দৌরাত্বের অভিযােগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, দলিল লেখকরাই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের প্রকৃত দালাল। তারা দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে দালাল হিসেবে দলিল রেজিস্ট্রির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে মর্মে প্রতীয়মান হয়।

এছাড়া দলিল রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের রেকর্ডভিত্তিক কোন প্রমাণ অভিযান পরিচালনাকালে পাওয়া যায়নি। রেকর্ডপত্র সংগ্রহ পূর্বক পরবর্তীতে কমিশনের নিকট প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৭টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

Aminur Rahman Badshah