আন্তরিক ধন্যবাদ শারমিন সুলতানা সুমিকে একজন সংগ্রামী মানুষকে জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য —— জুনায়েদ আহমেদ পলক

অন্যান্য এইমাত্র

“ফেসবুক থেকে নেওয়া”


বিজ্ঞাপন

আজ সকালে চিরকুট ব্যান্ডের জনপ্রিয় শিল্পী সুমি আপা
অফিসের কাজে আগারগাঁও আমাদের আইসিটি বিভাগে এসেছিলেন। মিটিং এর জন্য বেশ সকালে বের হতে হয়েছিল। আবহাওয়ার কারনে সব দোকান তখনও খোলেনি। তিনি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে একটু সামনে আসতেই আমাদের আইসিটি বিভাগের সামনে একটা চা এর দোকান খুঁজে পান। অর্ডার দিতে গিয়ে তিনি দেখেন চা-এর এই দোকান মালিক একজন মহিলা। নাম নাজমা।

মহিলাকে দেখতে বেশ সম্ভ্রান্ত। কৌতুহল থেকে কথা আগাতেই তার ব্যক্তিত্ব, ব্যবহার কথার্তায় মুগ্ধ হোন সুমি আপা। তার সম্পর্কে জানতে গিয়ে জানা যায় তার ২ ছেলে মেয়ে। ৪ বার অনেক কষ্টে সুদে টাকা যোগাড় করে স্বামীকে দেশের বাইরে পাঠিয়েছিলেন।

বারবারই তিনি হতাশ করে উল্টো লোনের বোঝা মাথায় করে ফিরেছেন। পরে আর কোন দায়িত্ব না নিয়ে পালিয়েছেন। তার মেয়েটা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। ছেলেটা ক্লাস এইটে। চা বিক্রি করেই কোনমতে সব চলে তাদের।

কিন্তু তাঁর চোখেমুখে কোন দারিদ্রতা নেই। তার কষ্ট একটাই মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন কি না! চা বিক্রি করেন বলে সবাই পিছিয়ে যাবেনা তো!

এই আত্মপ্রত্যয়ী নাজমা আপার সম্পর্কে সুমি আপা মিটিং এ এসে আজ আমাকে তাঁর সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে অবগত করলেন। আমাকে বললেন তার জন্য কিছু করা যায় কি না।
আমি সাথে সাথেই নাজমা আপাকে আমন্ত্রণ জানালাম আমাদের অফিসে।

সরাসরি তার কাছ থেকে শুনলাম তার জীবন সংগ্রামের গল্প। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক এ তার একটি ছোট্ট চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

অনেক কষ্ট করে ছেলে মেয়েকে শিক্ষিত গড়ে তুলছেন তার ছেলে মেয়ে দুইজনের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের পক্ষ থেকে One Student, One Laptop কর্মসূচির আওতায় দুটো নতুন ল্যাপটপ উপহার দিয়েছি।

তাদের মেধার বিকাশ এবং তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে দেব ইনশা আল্লাহ্।

‘আমাদের সকলের মধ্যেই অনুভূতি সহানুভূতি ও উপলব্ধি এই তিনটি বিষয় থাকা উচিত। একটি মানবিক সমাজ গঠন করার জন্য শুধু সামর্থ্য নয় প্রয়োজন একটু সহানুভূতি!’