বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, রাজশাহী জেলা প্রানীসম্পদ কার্যালয় ও জাতীয় নাক,কান,গলা ইনিস্টিউটের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

অন্যান্য এইমাত্র সারাদেশ

 

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে সোমবার ২১ মার্চ, ৯টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৬ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুর-এর বন্য প্রাণীদের খাবার পরীক্ষা ছাড়াই খাবার সরবরাহ, খাবারের মাংস ক্রয়ে অনিয়ম এবং গাছ কাটাসহ বিভিন্ন অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২ এর উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) মোঃ আনোয়ার হোসেনের এর নেতৃত্বে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল রবিবার ২০ মার্চ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এবং বন্য প্রাণীদের খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। এছাড়া, কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়, রাজশাহী-তে এনএটি ঔষধ এবং টিকা ক্রয়ে ভুয়া ভাউচার সৃজন করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মোঃ আমির হোসাইন-এর নেতৃত্বে আজ অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ঔষধ কেনাকাটা, স্টক ও বিতরণ রেজিষ্টার, ঘাস চাষ প্রর্দশনী ভাউচার, কৃষক প্রশিক্ষণ ভাউচারসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযানকালে জানা যায়, বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। অভিযোগ সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, উক্ত দফতরের অফিস সহকারী ও অফিস সহায়কসহ অন্যান্য কর্মচারীরা দীর্ঘদিন যাবত একই কর্মস্থলে কর্মরত আছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে নিয়মিত পশুর চিকিৎসা করে থাকেন। এ বিষয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে টিম কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

জাতীয় নাক, কান ও গলা ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও, ঢাকা এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ে সাড়ে ২৬ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে গতকাল দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে সহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌস ও আবুল কালাম আজাদ এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুদক টিম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট টেন্ডার ডকুমেন্টসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্র সরবরাহের জন্য অনুরোধ করে। রেকর্ডপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্যাথলজির যন্ত্রাংশ ক্রয় প্রক্রিয়ায় কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কি-না এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়াও, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৬টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।