মোঃ আরিফুল ইসলাম মুরাদ : রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বরখাস্তের ১১ বছর পর অধ্যক্ষের পদে ফিরলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহিরুল ইসলাম।

বাঁশখালী হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে তাঁকে পুনরায় যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

গত ১১ আগস্ট অধিদপ্তরের পরিদর্শন (চট্টগ্রাম বিভাগ) শাখা থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বরখাস্তের অভিযোগে জহিরুল ইসলাম প্রতিকার চেয়ে অধিদপ্তরে আবেদন করেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অধিদপ্তর গভর্নিং বডিকে “বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের” নির্দেশ দেয়।

অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ২০০১ সালের ১ নভেম্বর বাঁশখালী হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যোগদান করেন। ২০১৪ সালে তিনি বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে সময় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিনা বেতনে ৫ বছরের ছুটি নেওয়ার সুযোগ থাকলেও, গভর্নিং বডি তা মঞ্জুর না করে তাঁকে বরখাস্ত করে।

এই বিষয়ে আদালতের রিট পিটিশনের রায়ে বলা হয়, কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে ৬০ দিনের বেশি সাময়িক বরখাস্ত রাখলে তিনি পূর্ণ বেতন-ভাতা পাওয়ার অধিকারী হবেন।
দীর্ঘ সময় পর ন্যায়বিচার পেয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, “আমি মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলাম। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।”