নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে কোম্পানিতে কাজের সন্ধানে আসা এক তরুণীকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে আটকে রেখে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়।
এমতাবস্থায়, স্থানীয় পথচারীদের সহযোগিতায় ঐ তরুণীকে অসুস্থ অবস্থায় হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত ২৮ মার্চে ঐ তরুণী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ২৯ মার্চ মাধবপুর থানায় হাজির হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনায় সিলেট সহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে ঘটনার রহস্য উন্মোচন এবং আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ তার গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায়, প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার ৩০ মার্চ, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জের আভিযানিক দল হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানাধীন অলিপুর বাজার এলাকা থেকে উল্লেখিত গণধর্ষণ মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তাজপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত মধু মিয়া’র ছেলে মোঃ রফিক মিয়া (৩০) এবং একই জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বড়চড় এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়া’র ছেলে মোঃ মহিবুর রহমান @ মামুন (২৫)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় নিজের ও পলাতক আসামীদের কৃত কর্মের বিষয়টি স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায়, ভিকটিমকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে মাধবপুর থানাধীন দরগা গেইট এলাকায় নিয়ে আসে।
সেখানে ভিকটিমকে একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পরবর্তীতে ভিকটিমকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।