নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ নরসিংদী সদর সাব-রেজিস্ট্রার এর বিরুদ্ধে দলিল সম্পাদনকালে ২০০১ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত স্ট্যাম্প ফি, রেজি ফি, স্থানীয় কর, উৎস কর খাতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২-এর উপপরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে আজ ৩০ মার্চ ২০২২ খ্রি. তারিখে একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম।
অভিযান পরিচালনাকালে ২০২১ সালের ফি আদায়ের রেজিস্ট্রারগুলো যাচাই করে শুধু সেপ্টেম্বর হতে নভেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে মোট ৭০,৬৮,৩৩৪ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া ২০০১ হতে ২০২০ সালের ফি আদায়ের রেজিস্ট্রারসমূহ চাওয়া হয়েছে। চাহিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অতিশিঘ্রই প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলার খয়রাজুরি থেকে খন্দকপাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযােগের প্রেক্ষিতে দুদক, জেকা, ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়ার নেতৃত্বে একটা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ পূর্বক যাচাই-বাছাই করে জানা যায়, প্রকল্পের রাস্তার দৈর্ঘ ৩,৭২৫ মিটার এবং প্রাক্কলন ব্যয় ২,০৮,৫৫,৪৭১ টাকা।
পরিদর্শনকালে প্রকল্পের রাস্তার বক্স কাটিং দেড় ফিট, বালুভরাট ০৮ ইঞ্চি, বালু ও খোয়া মিশ্রণ ০৬ ইঞ্চি, শুধুমাত্র খোয়া ০৬ ইঞ্চি কার্পেটিং ০১ ইঞ্চি করার কাজ সরেজমিনে যাচাই করা হয়। এছাড়া উক্ত প্রকল্পের ০৬ ইউড্রন, ২৯২ মিটার প্রটেকশন ওয়াল ও এজিং এর কাজও পরিদর্শন করা হয়।
পরিদর্শনকালে উপজেলা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের তদারককারী উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলামকে প্রকল্পের অনিয়ম সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা।
এছাড়াও প্রকল্প এলাকার কয়েকজনের সাথে রাস্তার সংক্রন্তে কথা বলে অভিযোগের তাদের বক্তব রেকর্ড করে টিম। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানায়, প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। চূড়ান্ত বিল এখনো পরিশোধ হয়নি। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের যােগসাজশে সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের সরকারি কোয়ার্টার অবৈধভাবে দখলের অভিযােগের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্ত দুদক, জেকা, বগুড়ার সহকারী পরিচালক নূর আলম নেতৃত্ব সরেজমিন অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করে দেখা যায়, সান্তাহার রেলওয়ে জংশন কর্তৃপক্ষের অধীনে ১৮৫ কোয়ার্টারে মােট ৭৮৭ টি ইউনিট রয়েছে। উক্ত ৭৮৭ ইউনিটের মধ্যে ১৪০ টি ইউনিট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ দিয়েছে। অবশিষ্ট ৬৪৭ টি ইউনিট স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে।
এ প্রসঙ্গে কোয়ার্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী জানান যে, কোয়ার্টারগুলাে দেখাশােনার প্রয়ােজনীয় জনবল নেই এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের কথা বললে, তারাই বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন। তিনি আরাে জানান যে, রেলওয়ের কোয়ার্টার ছাড়াও রেলওয়ের জমি দখল করে অনেকেই অবৈধ স্থাপনা করে দখল করে আছেন এবং রেলওয়ের লিজিং সম্পত্তিগুলাে রিনিউ না করে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও দখলদারদের জিজ্ঞাসাবাদে রেলওয়ের কোয়ার্টার দখল, অবৈধ স্থাপন নির্মাণ ও লিজিং সম্পত্তিগুলাে রিনিউ না করে দীর্ঘদিন দখল করার সত্যতা পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।