রমজানের প্রথম জুমায় রাজধানীর মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

Uncategorized আন্তর্জাতিক

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমার নামাজে মসজিদে সারিবদ্ধভাবে বহু সংখ্যক মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। রাজধানীর লালবাগ বিভাগের প্রতিটি মসজিদে ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। মসজিদগুলোতে ছিল নানা বয়সী মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি।
অধিকাংশ মসজিদে জায়গা পরিপূর্ণ হয়ে রাস্তার অনেক দূর পর্যন্ত মুসল্লিদের নামাজের কাতার লক্ষ্য করা গেছে। প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে অনেকে ঘামে ভিজে জুমার নামাজ আদায় করেছেন।

শুক্রবার ৮ এপ্রিল, জুমার নামাজের সময় লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মসজিদগুলোতে এ অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক। পাশাপাশি, বরাবরের মতো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা প্রত্যেক জুমায় জুমাবারের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। যা প্রতিটি মসজিদে বিশেষ করে, পুরান ঢাকার লালবাগ শাহী মসজিদ, চকবাজার শাহী মসজিদ, আমলীগোলা মসজিদ, হাজারিবাগ মসজিদ, শহীদনগর জামে মসজিদ, কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা মসজিদ, মসজিদুল ঈমানসহ রাজধানীর পুরান ঢাকার মসজিদগুলোতে ব্যাপক সমাগমের মাধ্যমে। কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা মসজিদের অভ্যন্তরে মুসল্লিদের ঠাঁই হয়নি। প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে মুসল্লিরা রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে সারিবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন। এমনকি মসজিদের বিছানো ছালার চট, তিরপাল ও জায়নামাজে অবস্থান নিয়ে নামাজ আদায় করতে হয়েছে মুসল্লিদের।
পাশাপাশি, রাজধানীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোতেও ছিল একই অবস্থা। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। পূর্বের তুলনায় এবারের রমজানের প্রথম জুমায় প্রতিটি মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা যায়। এসময় মুসল্লিদের অভিব্যক্তিতে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্যের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়। রমজানের তাৎপর্য ও বিধিনিষেধ সম্পর্কে মসজিদে মসজিদে হয়েছে বিশেষ খুতবা ও আলোচনা। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন মসজিদের সামনে ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এ সময় কয়েকজন মুসল্লি জানান, রমজানের প্রথম জুমায় মসজিদ গুলোতে মুসল্লিদের সমাগম দেখে তারা আবেগাপ্লুত। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও অবনত চিত্তে নিজেকে সমর্পিত করার জন্য মুসুল্লিরা যে আবেগ ও আগ্রহ দেখিয়েছেন এটি চোখে পড়ার মতো। তারা আশা প্রকাশ করেন এ ধারা অব্যাহত রাখলে মহান রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে সকল প্রকার বিপদ আপদ দূর করে নিবেন।


বিজ্ঞাপন