ছোট একটি সাদাকায় জারিয়ার চেষ্টা.

Uncategorized শিক্ষাঙ্গন

  1. নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ মেয়েরা শরীরের কাপড় চেঞ্জ করার সময় অবশ্যই “বিসমিল্লাহ” বলে নিবেন। নইলে আশেপাশে থাকা ফেরেশতারা লজ্জা পেয়ে চলে যাবে এবং জ্বীনরা আপনার সব দেখে ফেলবে।
    আপনি যখন ওয়াশরুমে যাবেন, যাওয়ার আগে অবশ্যই দোয়া পড়ে নিবেন। তাহলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা আপনার ও জ্বীনদের মধ্যে একটি পর্দা তৈরী করে দেবে। এতে করে খবিশ জ্বীন গুলো আপনাকে ইভটিজিং করতে পারবেনা।
    কোথাও কিছু ফেলার আগে বিসমিল্লাহ বলে ফেলবেন। এতে অন্যান্য সৃষ্টির কোনো অসুবিধা হবেনা।
    বাহিরে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা ফেরেশতাদের সালাম দিয়ে বের হবেন ও দোয়া পরে বের হবেন।যেসব ফেরেশতারা আপনার অনুপস্থিতি তে আপনার ঘরটি পাহারা দিলেন ঘরে এসে তাদের আবারো সালাম দিন। এটা ভদ্রতা।
    বেশি বেশি সালাম দেওয়ার অভ্যাস করুন। ছোটদের আগে সালাম দিন। তারা উৎসাহিত হবে।
    আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে বাচ্চাদেরকে ছোট থেকে মসজিদে পাঠানোর অভ্যাস করুন। দাঁড়িয়ে পানি খেতে দিবেন না বাচ্চাদের, তারা ছোট থেকেই শিখবে। আপনি নিজেও দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া বন্ধ করুন। বসে খাবেন। এটা সুন্নাহ।
    ডান কাত হয়ে ঘুমাবেন। এটা সুন্নাহ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ঘুমের আগে অবশ্যই ৩ কুল পড়ে ঘুমাবেন। এটা আপনাকে সারারাত বদ মানুষ ও জ্বীন থেকে হেফাজত করবে, ইন শা’ আল্লাহ্।
    প্রতিরাতে অবশ্যই সুরা মুলক পড়ে ঘুমাবেন। এটা আপনার কবরের জীবনের সাথী, আপনাকে কবরের আযাব থেকে বাঁচাবে ইন শা’ আল্লাহ্।
    ঘুমের আগে প্রতিদিন বিছানা ঝাড়েন অথচ এটা সুন্নত মনে করে ঝাড়লেই পেয়ে যাচ্ছেন সওয়াব!
    অনুরূপ ভাবে কাপড় পড়ার আগে অবশ্যই একটু ঝেড়ে নিবেন এটা সুন্নাহ এবং কাপড়ে কোনো পোকামাকড় থাকলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবেনা।
    খিলখিল করে হাসা বন্ধ করুন। মুচকি হাসবেন। এটাই সুন্নাহ!
    রাতে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসী পড়ে ঘুমাবেন এতে করে শয়তান আপনার নিকট আসতে পারবে না। ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, এবং ৩৪ বার আল্লাহ আকবর পড়ে নিবেন।
    রাতে ওযু করে ঘুমাবেন এতে করে সারা রাত একজন ফেরেশতা আপনার জন্য দোয়া করতে থাকবে।
    ঘুমানোর আগে সবাইকে মাফ করে দিয়ে এবং আপনি নিজে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে ঘুমাবেন।
    রাতে ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ত করে ঘুমাবেন আপনি যদি ঘুমের কারনে নাও উঠতে পারেন তারপরও তাহজ্জুদ এর সওয়াব পেয়ে যাবেন। মানুষকে বিপদে এবং গরিবদের যতটুকু পারেন সাহায্য করুন এতে করে আল্লাহর রহমতে আপনার বিপদে আল্লাহর সাহায্য পাবেন।
    পরিশেষে মনের ভিতর কোনো লোভ,হিংসা, অহংকার রাখবেন না এগুলো নেক আমল ধ্বংস করে দেয়।