মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও মেহেরপুর তেতুলবাড়িয়া ভুমি অফিসে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

Uncategorized আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে বুধবার ১১টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৯ দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছে !!
মানিকগঞ্জ পৌরসভা, মানিকগঞ্জ-এর মেয়রের বিরুদ্ধে বিএমডিএফ প্রজেক্টের আওতায় সড়ক উন্নয়নের বাবদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত ম্যাচিং ফান্ডের অর্থ প্রদান না করে আত্মসাতের অভিযােগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২ এর উপ-পরিচালক সালাম আলী মোল্লার নেতৃত্বে বুধবার ২০ এপ্রিল একটি এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে উক্ত দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছে। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনপূর্বক নিম্নমানের কাজের হয়েছে বলে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মাণ হয়েছে।

যাচাইকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর একাউন্টে ঠিকাদার কর্তৃক ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ প্রদানের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক টিম। প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই পূর্বক সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবেন এনফোর্সমেন্ট টিম।
তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস, গাংনী, মেহেরপুর-এর কর্মচারীর বিরুদ্ধে জমির খাজনা আদায় বাবদ ঘুষ দাবির অভিযােগে দুদক, সজেকা, কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল এর নেতৃত্বে আজ অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

অভিযানকালে অভিযোগকারী মো: হাবিবুর রহমান জানান, তিনি তার মায়ের নিকট থেকে প্রাপ্ত জমি নামজারী ও খাজনা পরিশোধের জন্য ভূমি অফিসে আবেদন করেন।
উক্ত অফিসের কেরাণী মো: তোফাজ্জল তার নিকট থেকে নামজারী ও খাজনা বাবদ ৭০০০ টাকা গ্রহণ করেন। অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো: তোফাজ্জল হোসেন, অফিস সহায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি অভিযোগকারী মো: হাবিবুর রহমানের নিকট থেকে খাজনা পরিশোধ ও নামজারীর ফি বাবদ ৭০০০ টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। তিনি দাবী করেন, তিনি নামজারী বাবদ ১১৭০ টাকা এবং বাকি টাকা খাজনা পরিশোধ বাবদ সরকারি খাতে জমা করেছেন।

কিন্তু তার দাবীর স্বপক্ষে খাজনা আদায় রেজিস্টার বা কোন প্রমাণক উপসস্থাপন করতে পারেননি। অভিযান পরিচালনা কালে অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় তার বক্তব্য গ্রহণ করা যায়নি।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি), গাংনী উপজেলা, মেহেরপুরকে উক্ত অফিস সহায়ক মো: তোফাজ্জল কর্তৃক গৃহীত টাকার দাখিলা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের এবং তাকে অন্যত্র বদলী করার জন্য অনুরোধ করা হয়। অভিযান প্রসঙ্গে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৯টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন