বেআইনি পন্থায় এম.আর.পি বাস্তবায়ন কতটা সঠিক ?

Uncategorized অন্যান্য

!! ওষুধ ব্যবসায় সবথেকে বড় মাথা ব্যথার কারণ হচ্ছে ছাড় বা ডিস্কাউন্ট যা এদেশের লক্ষ কেমিস্ট কে ক্যান্সারের মতো ধুঁকে ধুঁকে মারছে !!

বকুল হালদার ঃ  সেই আরএমপি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেশের কিছু এলাকার কেমিস্ট নেতৃবৃন্দ গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।
জোর জুলুম ও শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো মহত কাজ সাধিত হয় না। সে কথাটি বোধহয় তারা ভুলেই গিয়েছেন।
আইন যাতে লঙ্ঘন না হয় সেই কাজ করা সবার জন্য মঙ্গল জনক।
অপরাধের ধরন সমুহ যথাক্রমে,
প্রথমত দেশের চলমান আইন অমান্য করে আপনারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন।
দ্বিতীয়ত দোকান বন্ধ করে দিয়ে জুলুম, নিপীড়ন, পেশিশক্তি পেশ, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, আতঙ্ক সৃষ্টি এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে কেমিস্টকে তা মানতে বাধ্য করছেন। ইহা দস্যুতার মধ্যে পড়ে। তৃতীয়ত এসব কিছু ফৌজদারি অপরাধ মূলক কাজ, সেগুলো করে তা আবার মিডিয়ায় প্রচার করে ভীতির সঞ্চার করছেন। সামাজিক ভাবে ঐ ব্যবসায়ী ব্যক্তিকে হেয় করছেন, সম্মান হানি করছেন যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সুস্পস্ট লঙ্ঘন।
চতুর্থত এ সব কর্মকাণ্ড সমস্ত মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
আপনারা এগুলো করেন আপনাদের ব্যক্তি স্বার্থে ও গোষ্ঠী সার্থে। কোন ক্ষমতা বলে এই অন্যায় গুলো আপনারা করছেন ভাই? কোন কতৃপক্ষ আপনাদের বৈধতা দিয়েছে? নাকি পেশিশক্তির বলে নিজেরাই আইন তৈরি করে নিয়েছেন?
আপনাদের অপরাধের দায় ভার কি কেন্দ্রীয় বিসিডিএস বহন করবে? ঔষধ প্রশাসন, বিসিডিএস কেন্দ্রীয় কমিটি, বানিজ্য মন্ত্রনালয় অথবা কোর্টের নির্দেশ ছাড়া কিভাবে এই অপরাধ মূলক কাজগুলো করছেন ও এখনো অব্যাহত আছেন। “দোকান বন্ধ” করে দিচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিআই কে পত্র দিয়ে এ ব্যাপারে জানিয়েছিলেন কী?
এদেশের আইন আদালত কি আপনাকে এই ক্ষমতা দিয়েছে? কোনো কোর্ট থেকে কি পার্মিশন নিয়েছিলেন? ম্যাজেস্ট্রিসি পাওয়ার না থাকলে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা যায় না, সেটা কি আপনাদের জানা আছে? কারো অনুমোদন নিয়ে থাকলে তা আমাদের জানান, দেখান। আমরাও আপনাদের সাথে শামিল হই। যদি তা না হয়, তবে তো আপনাদের এই কাজ গুলো করা সম্পুর্ন অন্যায় ও অবৈধ এবং দেশের প্রচলিত আইনের অবমাননা। যদি দেশের প্রশাসন আপনাদের কাজগুলোতে দৃষ্টি নিপাত করতো, তাদের নজরে আসতো তবে এই মুহূর্তে আপনাদের জেলখানায় থাকার কথা, নির্বাচনের ময়দানে নয়।
আরো শুনুন আপনারা এমআরপি বাস্তবায়ন করে যে ক্রেডিট নিতে উদগ্রীব,এমআরপি এর স্বপ্নদ্রস্টা বলে দাবি করছেন এটাও সঠিক নয়। প্রথম এমআরপি শুরু করে ১২ সালে উত্তরার বিপ্লব এবং তার কমিটি। কিন্তু ঢাকার অন্যান্য এলাকায় এমআরপি না থাকায় তা বেশি দিন স্থায়ীত্ব পায়নি। গুরুকে গুরু মানুন, বাপের নাম ছাড়া ছেলের সঠিক পরিচয় পাওয়া যায় না। পরিচয় পেলেও সেই ছেলেকে সবাই অবৈধ সন্তান বলেই জানবে। অন্যের অবদান স্বীকার করলে ইজ্জত কমে না, ইজ্জত বাড়ে। যেমন আমাদের “বঙ্গবন্ধু” ছাড়া বাংলাদেশের নাম অসম্পূর্ণ।
“আলহাজ্ব সাদেকুর রহমান” এখন যে কর্মই করুক না কেন, বিসিডিএস থেকে তার নাম মুছে ফেলা যাবে না। যে যতটুকু সম্মান প্রাপ্য তাকে, সেটুকু দিন। আপনিও ভবিষ্যতে সম্মানিত হবেন। শুনুন গায়ের জোরে কোনো ভালো কাজ হয় না।
গত পঁচিশ বছর যাবৎ ডিস্কাউন্ট না দিয়ে, কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে আমি ব্যবসা করছি। ডিস্কাউন্টে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় আমার। তার পরও বলি আমাদের এমন কোনো পন্থা বের করতে হবে, যা প্রয়োগ করলে আইনও অমান্য হবে না, আবার কেমিস্টও তা মানতে বাধ্য থাকবে। সেরকম টিকসই কোনো ব্যবস্থা বের করুন। তার পরে কৃতিত্বের ঢাক টোল পিটান, গুন গান করুন। তখন লোকের মুখে শুনতে পাবেন আপনাদের জয়গান। তারুণ্যের টগবগে রক্ত একটু বেশি গরমই হয়। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি যাকিছু অর্জন হবে, অতি অল্পতেই তা হারিয়ে যাবে।
এটা মাথায় রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যান। লক্ষ কেমিস্ট সঙ্গে পাবেন। সকল কেমিস্ট এর জয় হোক।
শুভ কামনা রইলো।


বিজ্ঞাপন