কক্সবাজারে র‍্যাব কর্তৃক চাঞ্চল্যকর মোরশেদ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৪ জন এজাহার ভুক্ত আসামী গ্রেফতার

Uncategorized আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ৭ এপ্রিল, ইফতারির আগে পিএমখালীতে পানি সেচ প্রকল্পের বিবাদকে কেন্দ্র করে মোরশেদ আলী @ মোরশেদ বলি (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত মোরশেদ আলী পিএমখালী মাইছপাড়ার মৃত মাওলানা ওমর ফারুকের পুত্র।

জানা যায়, সরকারি এক সেচ প্রকল্প দীর্ঘদিন নিহতের পরিবার ইজারা নিয়ে পরিচালনা করে আসছিল। এক পর্যায়ে একই এলাকার অন্য একটি গোষ্ঠীর লোকজন সেচ প্রকল্পটি জোরদখল করে নেয়। সেচ প্রকল্পটির দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল।

এর অংশ হিসাবে গত ৭ এপ্রিল, মোরশেদ আলী ইফতারের বাজার করার জন্য চেরাংঘর বাজারে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন রড, ছুরি ও লাঠি নিয়ে হামলা করে।

প্রায় ২০ মিনিট উপর্যুপুরি আঘাতের পর হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয়রা মোরশেদ আলীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে সে মৃত্যুবরণ করে।

তার প্রেক্ষিতে গত ৯ এপ্রিল, ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি সারাদেশে খুব চাঞ্চল্য তৈরি করে এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হয়।

বিষয়টি র‌্যাবের নজরে আসলে আসামী গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব আসামী গ্রেফতারের তৎপরতা শুরু করে।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মতিউল ইসলাম (৩৪), সাইফুল ইসলাম (৪৫), আজহারুল ইসলাম (৩২), সর্বপিতা-মৃত শফিউল আলম, সাং-কাঠালমুরা, ঘোনারপাড়া, জয়নাল আবেদীন (৪৮), পিতা-মৃত সৈয়দ আহমেদ, সাং-বাংলাবাজার, ০৫ নং ওয়ার্ড, সর্ব ইউনিয়ন-পিএমখালী, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজারদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এজাহার অনুযায়ী গ্রেফতার কৃত মতিউল ইসলাম ৬ নং আসামী, সে নিহত মোরশেদ আলীকে ভারী হাতুড়ী দ্বারা বাম পায়ের গুড়ালিতে আঘাতপূর্বক হাড় ভেঙ্গে ফেলে। জয়নাল আবেদীন ১২ নং আসামী, সে লোহার রড দ্বারা কপালের বাম পার্শ্বে আঘাত করে জখম করে।

সাইফুল ইসলাম ২৩ নং আসামী, সে হাতে থাকা লাঠি ও লোহার রড দ্বারা হত্যা করার উদ্দেশ্যে পিঠে ও সর্বশরীরে আঘাত করে। আজহারুল ইসলাম ২৬ নং আসামী, সে আশেপাশের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ ধারালো অস্ত্রের দ্বারা হত্যার হুমকিতে তাড়িয়ে দেয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পূর্বের মামলা মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন