বহুরূপী সামির গোপন তথ্ব্য

Uncategorized অন্যান্য

আজকের দেশ ডেস্ক ঃ শিশুকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত যার (সামির) বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
একেক সময় একেক নাম ধরন করেন এই সামি। কখনো সামিউল আহমেদ খান, কখনো জুলকারনাইন সায়ের খান, আবার কখনো তানভীর মো. সাদাত খান।
সামির সাথে একই শ্রেণীতে থাকা তার বাল্য বন্ধু ফাহিম জানান, “অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ থেকে সামি বিতাড়িত হন। তখন থেকেই তিনি মাদকাসক্ত। নেশার টাকা যোগাতে শুরু করেন প্রতারণা। মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি কেন্দ্র করে অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি। তিনি ছিলেন বদমেজাজী। প্রায়ই নানাজনের সঙ্গে হাতাহাতি-মারামারি করতেন। কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মানসিক চিকিৎসাও হয়েছে।“
সামির সৎ মা বলেন, ‘নিজের সন্তানকে কেউ কখন ত্যাজ্য করার সিদ্ধান্ত নেন? নিজে সন্তানের মা-বাবা হলে সেটা বুঝতে পারবেন।’
এ প্রসঙ্গে সামির ছোট ভাই বলেন,” তিনি বাবার কথা শুনতেন না। তার কর্মকাণ্ড নিয়ে বাবা বিব্রত থাকতেন। ছেলের কর্মকাণ্ডের কারণে তার পদোন্নতি আটকে যায়। শেষে বাধ্য হয়ে ২০০২ সালে তাকে ত্যাজ্য করেন বাবা।“
হাঙ্গেরীতে পালিয়ে যাওয়ার আগে প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়েই মিথ্যা পরিচয়ে একজন সেনা কর্মকর্তার (সামির শ্বশুর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) তাসলিম) মেয়েকে বিয়ে করেন এই সামি। পরে শ্বশুরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে বিদেশে চলে যান।
হাঙ্গেরীতে বসবাসরত তার সহকর্মী আন্না এলভার্ট বলেন,” সামিকে আমরা প্রায়ই দেখতাম রেড জোন এরিয়াতে। শুধু তাই না সেখানে থাকা মেয়েদের সাথে মদ্যপান ও করতো এবং প্রচুর টাকা ব্যয় করতো”।
এরপর, যখন তার অর্থের প্রয়োজন পড়ে, তখন পাশে এসে দাঁড়ান আল জাজিরার তথাকথিত অনুসন্ধানী সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান ও প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ভিত্তিহীন আজগুবি বক্তব্য দেওয়ার জন্য কিছু দেশোদ্রহীদের পক্ষ্য থেকে , তাকে মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সাংবাদিকতা না পড়েও নিজেকে স্বঘোষিত সাংবাদিক হিসেবে দাবি করেন এই হোটেল ব্যাবসায়ী। দেশোদ্রহীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে লবিস্ট হিসেবে দেশের বিরুদ্ধ্যে অপপ্রচার করে যাচ্ছে এই সামি।
আমাদের উচিৎ এই সকল সামি তাসনিম খলিলের মত দেশোদ্রহীদের দ্রুত বয়কট করা।


বিজ্ঞাপন