ঘুষ বাণিজ্যর সংবাদ প্রকাশের জেরে বেপরোয়া চেয়ারম্যান তোতা কর্তৃক সাংবাদিককে হুমকি

Uncategorized অপরাধ

সুমন হোসেন (যশোর)ঃ যশোরের শার্শার ১০ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা’র ঘুষ বাণিজ্য ও বিয়ে বাড়ির খাবার তুলে এনে সাঙ্গপাঙ্গদের মাঝে বিতরণের সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মিলেছে। তোতা চেয়ারম্যান ও তার পোষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার শার্শা প্রতিনিধি মোঃ ইকরামুল ইসলামকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং শার্শা বাজারে উঠলে জুতা পেটা করার হুমকি দিয়েছেন এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় শনিবার (১৪ই মে) সকালে ইকরামুল ইসলাম বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে ও সাংবাদিক ইকরামুল ইসলামের মাধ্যমে জানা গেছে, ৭/৮ দিন আগে চেয়ারম্যান তোতার নামে চটকাপোতা গ্রামের একটি বিয়ে বাড়ি থেকে খাবার তুলে এনে তার সমার্থকদের ভিতরে বণ্টনের অভিযোগে বিভিন্ন অনলাইন এবং পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়।

তারই জের ধরে ১৩ই মে শুক্রবার সাংবাদিক ইকরামুল ইসলামকে লক্ষ্য করে তিনি সাংবাদিকদেরকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।

তখন সাংবাদিক ইকরামুল ইসলাম গালিগালাজ করার কারণ জানতে চাইলে বেপরোয়া চেয়ারম্যান তোতা সাংবাদিক ইকরামুলকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শার্শা বাজারে উঠলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহীনির সাজিদ সহ কয়েকজন সাংবাদিক ইকরামুলকে মারতে তেড়ে আসে, স্থানীয় জনগণের সহায়তায় তিনি তাদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন।
চেয়ারম্যান তোতা ও তার সন্ত্রাসী বাহীনির অকথ্য ভাষার গালিগালাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে সাংবাদিক সহ সাধারণ মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচারনে সাধারণ জনগণ হতবাক হয়েছেন এবং সকলেই তার কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

জানা যায়, এর আগেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সালিশের সুযোগ নিয়ে চেয়ারম্যান তোতার সমার্থকেরা চেয়ারম্যানের নাম করে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়েও কিছুদিন আগে নানা পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো। এ কারণে সাংবাদিকদের উপর চেয়ারম্যান একটা তীব্র ক্ষোভ পুষে রেখেছিলেন যার বহিঃপ্রকাশ গত শুক্রবার ১৩ মে সাংবাদিক ইকরামুল কবিরের উপর ঘটান।

এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিজ্ঞাপন