বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এরই মধ্যে কোম্পানির মোট আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে

Uncategorized আন্তর্জাতিক

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ঃ ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, বিদেশি স্যাটেলাইটের নির্ভরতা কমিয়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাৎসরিক আয় ১৫০ কোটি টাকা।
২০২২ সালের ১৫ মে একই পোর্টাল নিউজ করেছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, তিন বছর কোন আয় করতে পারেনি একটা টাকাও। ২০২২ সালের ১৬ মে, একই নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশ করলো, প্রত্যাশিত আয় করতে পারেনি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মার্কেটে নানা জটিলতায় খচর উঠতে একটু দেরি হবে।
১৬ মে ২০২২, আজ অন্যান্য জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলো স্যাটেলাইট থেকে আয় ৩০০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য যে, আমাদের স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে ৬ টি দেশ। তারা হলো, তুরস্ক (১টি চ্যানেল), দক্ষিণ আফ্রিকা (২টি চ্যানেল), হন্ডুরাস (২টি চ্যানেল), ফিলিপাইন (২টি চ্যানেল), ঘানা (৩টি চ্যানেল), ক্যামেরুন (১টি চ্যানেল)। এছাড়া বাংলাদেশ মিলিটারি (আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স) এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করে। স্যাটেলাইট কত টাকা আয় করলো বা এক টাকাও আয় করলো না, এসব নিয়ে বিভ্রান্তিকর শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। মেন্টেন্যান্স খরচ সামাল দিয়ে সম্প্রতি ব্যান্ডউইটথের দাম উঠানামা করায় আয়ের হিসেব বেশি না এটি যেমন সত্য, এই স্যাটেলাইট নিজেদের সক্ষমতা ও নিজস্ব নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, এ বিষয়ে পড়াশোনা, কাজের সুযোগ, গবেষণার নতুন দুয়ার খুলেছে, বিদেশে ডলার পাঠিয়ে ভাড়ায় ব্যবহার করার চেয়ে দেশের টাকা সাস্রয় হচ্ছে এটিও মেনে নেওয়া উচিৎ।
আরেকটা ব্যপার না বললেই নয়, স্যাটেলাইট থেকে আমরা নগদ রিটার্ন আসা করছি, কিন্ত এটি নগদ রিটার্ন যদি নাও দিতে পারে, পরোক্ষভাবে আমরা লাভবান হবো ও হচ্ছি।
সেটা কেমন? যেসব দুর্গম অঞ্চল আগে যোগাযোগের বাইরে ছিল সেসব অঞ্চলে এখন যোগাযোগ স্থাপন করা গেছে। এটি কিন্ত পরোক্ষভাবে আমাদের লাভবান করছে। আগে সিঙ্গাপুর, জাপানে ডলার পাঠিয়ে টিভি চ্যানেল গুলো কাজ চালাতো, এখন সেই টাকাটা সেভ হচ্ছে এবং দেশের টাকা বাইরে যাচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য আদান প্রদান করা যাচ্ছে নিজেদের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। এগুলা হিসেবে ধরলে কি লস হবে? স্যাটেলাইট সংক্রান্ত পড়াশোনা, গবেষণা ও কর্মসংস্থানের যেই সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেটা কি ভারতের সার্ক স্যাটেলাইট, জাপান বা সিঙ্গাপুরের স্যাটেলাইট ব্যবহার করলে হতো? রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কথা মতো লাভ নগদে না হলেও লোকসানও বলা যাবে না, পরোক্ষভাবে আমরা উপকৃত হচ্ছি। সর্বশেষ সোমবার ১৬ মে বিএসিএল এর পাঠানো রিপোর্টের তথ্য হাতে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ তিন বছর ধরেই আয়ের ধারায় রয়েছে। এরই মধ্যে কোম্পানির মোট আয় ৩০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। বর্তমানে কোম্পানির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। এর প্রায় পুরোটাই দেশীয় বাজার থেকে অর্জিত হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন