নড়াইল সদর হাসপাতালে সিন্ডিকেটের মহারানী,অর্থ লোভী দূর্নীতিবাজ নার্স মুজিদার,বেপরোয়া দোড়ঝাঁপ

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর হাসপাতালে সিন্ডিকেটের মহারানী,অর্থ লোভী দূর্নীতিবাজ নার্স মুজিদার,অনিয়মের নানা ফিরিস্তি,ধারাবাহীক ভাবে প্রচারীত হবে। নড়াইল সদর হাসপাতালের সিনিয়ার নার্স মুজিদা বেগমের হাসপাতালে আসা রোগীদের অবৈধ গর্ভপাত করিয়ে,বেপরোয়া ভাবে রমরমা অর্থ বানিজ্জ্য করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা বলে নানা অভিযোগ উঠলেও এসব অনিয়ম দূর্নিতি দেখার যেন কেউ নেই,নার্স মুজিদার খুটির যোঁর কোথায়,হাসপাতাল কর্তিপক্ষ নিরব ভুমিকায়। ছন্দ নাম আন্জিরা বেগম নামের এক মহিলা অভিযোগ করে বলেন,আমি পেটে ১৪ সপ্তাহ্ এর বাচ্চা নিয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এসময় ডেলিভারি ওয়ার্ডের সিনিয়ার নার্স মুজিদা বেগম আমার ডি এন সি তথা এ্যবশন করানোর জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করে এবং আমার ভাই তাৎক্ষণিক ৫ হাজার টাকা দেন এবং পরে আমি ২ হাজার ৫ শত টাকা মোট ৭ হাজার ৫ শত টাকা দেয়ার পরে নার্স মুজিদা আমার ডি এন সি করেন এবং ডি এন সি করার পরে ডেলিভারি ওয়ার্ডের সিনিয়ার নার্স মুজিদা বেগম রোগীর কাছে বাকি টাকার জন্য চাপ দিলে পরের দিন রাতেই গোপনে হাসপাতাল থেকে নার্স কে টাকা না দিয়ে পালিয়ে বাড়িতে চলে যান ভুক্তোভোগী ওই রোগী বলেও জানান। যার ভিডিও ফুটেজ স্বাক্ষাৎকার সাংবাদিকদের কাছে সংগ্রহীত রয়েছে। ভুক্তোভোগী ছন্দ নাম আন্জিরা বেগম আরো জানান,সরকারি হাসপাতালে আমাদের মত অসহায় গরিব মানুষ যায়,কম টাকায় একটু ভালো চিকিৎসার জন্য কিন্তু হাসপাতালের সামনে এবং হাসপাতালের মধ্যে ও হাসপাতালের চাকরীরত নার্স দালালি করে এবং রোগীদের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়,আমি একজন গৃহীনি এবং সন্তানের মা,আমি অসাবধানতার কারনে কোলে বাচ্চা থাকা অবস্থায় আবারও আমার পেটে বাচ্চা আসে ও আমি হঠাৎ করে অসুস্থ্য হয় পড়ি এবং আমি আমার স্বাসীসহ আমার ভাইকে নিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদিকে,নড়াইল সদর হাসপাতালের দূর্নিতিবাজ ডেলিভারি ওয়ার্ডের সিনিয়ার নার্স মুজিদা বেগমকে এক মহিলা নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান,আপা আমার ১৭ সপ্তাহ্ বয়াসের বাচ্চা পেটে,আমার ডি এন সি করাতে কি করণীয় আছে এসময় টাউট,বাটপার,অবৈধ গর্ভপাতকারী নার্স মুজিদা বেগম ঐ মহিলার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে এবং গত (২৬ মে) বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে নড়াইল সদর হাসপাতালের ডেলিভারি ওয়ার্ডে সিনিয়ার নার্স পরিচয়দানকারী মুজিদা বেগম এর কাছে যেতে বলেন এবং জানতে চান,তুমি মোটা না ঘেনা,লম্বা না খাটো বলেও জানতে চান,সর্বপরি ১০ হাজার টাকা নিয়ে গেলেই অবৈধ ভাবে গর্ভপাত করিয়ে দিব বলে জানান,নার্স মুজিদা বেগম। যার রেকোডিং সাংবাদিকদের কাছে সংগ্রহীত রয়েছে। তুলারামপুর গ্রামের স্থানীয় একাধীক ব্যাক্তি জানান,মুজিদার বাড়ি তুলারামপুর কিন্তু গ্রামের বোন,ভাইর বিটি,কাকি,খালা,ফুপু হওয়ার সুবাদেও গ্রাম বাসি বিপদে পড়ে মুজিদার কাছে হাসপাতালে গেলে কোন প্রকার উপকার তো দুরের কথা,টাকা ছাড়া কোন উপকারে আসেন না,টাকা দিলে সব ঠিক,টাকা না দিলে মহা বড় বিপদ। রোগী’রা দরকারের জন্য ডাক দিলে কুত্তার মত রোগীদের সাথে ব্যবহার করে এ নার্স মুজিদা। মহিলা রোগীদের ডেলিভারি হওয়ার পরে রোগীের স্বজনদের কাছে মোটা অংকের টাকা বকশিস দাবি করেন নার্স মুজিদা এবং যদি কেউ তার মন ভরাতে না পারে তাহলে নেমে আসে তার রোগীর উপরে অনিয়ম ও অনিহা ও মনের মত বকশিস না দিলে ডাকলেও আসে না এবং কিছুই করেন না,কুত্তার মত ব্যবহার করে,নার্স মুজিদা বেগম বলেও জানান,রোগীর স্বজন’রা। অভিযুক্ত সিনিয়ার নার্স মুজিদা বেগম মোবাইল ফোনে ১০ হাজার টাকা চাওয়ার বিষয়ে সতত্যা শিকার করে বলেন,আমাকে একটি মেয়ে গর্ভপাতের জন্য ফোন দিয়েছিলো আমি আসতে বলেছিলাম সত্যি কিন্তু ছন্দ নাম আন্জিরা বেগমকে আমি চিনি না,আমি তার কাছ থেকে বা তার ভাই এর থেকে কোন টাকা নেইনি এবং এবিষয়ে আমি কিছু জানি না,আমার কাছে আসেওনি। ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে গর্ভপাত করার জন্য টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে নার্স মুজিদা সাংবাদিকের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে,অবৈধ বাচ্চা পেটে নিতে পারে আবার আমি খরচের জন্য ১০ হাজার টাকা চাইতে বা নিতে পারবো না বলেই চড়াও হয়ে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোন যোঁর পূর্বক কেড়ে নেন,অবৈধ গর্ভপাতকারী মুজিদা বেগম পরে মোবাইল চেক করে গুরুত্বপূর্ন ডকুমেন্ট ডিলেট করে মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেন। টাউট,বাটপার,অবৈধ গর্ভপাতকারী নার্স মুজিদা বেগম এর খুটির যোঁর কোথায় যে অনিমের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নেয়ার মত সাহস দেখায় এবং সরকারি হাসপাতালে চাকরি করেও অসহায় রোগীদের কাছ থেকে গর্ভপাত করার জন্য প্রতি রোগীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। এদিকে,ডুমুরতরা গ্রামের পান্নু বেগ এর স্ত্রী নাসিমা বেগম,সিজারের জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে নার্স মুজিদা বেগম ভালো করে সিজার করাবেন বলে রোগীর কাছ থেকে কৌশলে ৪ হাজার ৫ শত টাকা নিয়ে হাসপাতালে সিজার করে দেন,এবং লোক জানাজানি হলে পরে নার্স মুজিদা ওই রোগীর টাকা ফিরিয়ে দেন এবং কাউকে কিছু না জানাতে অনুরোধ করেন। নড়াইল সদর হাসপাতালের রিপ্রোডাকটিভ হেলথ সার্ভিসেস এর পরামর্শ দানকারী রতনা রায় জানান,এম আর বা ডি এন সি করাতে রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ ২০ টাকা লাগে কিন্ত মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে গর্ভপাত করানো কোন নিয়ম নায়,যদি এমন নেক্কার জনক কর্মকান্ড করে তাহলে তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ বলেও জানান। নড়াইল সদর হাসপাতালের কর্তত্বরত আর এম ও সুজল বকশি জানান,অবৈধ গর্ভপাত করানোর কোন অভিযোগ পাইনি,অবৈধ গর্ভপাত করার কোন নিয়ম নায়,টাকার বিনিময়ে অবৈধ গর্ভপাত করা চরম অপরাধ,যদি এ ধরনের কর্মকান্ড নার্স করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান।
নার্স মুজিদার অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ ধারাবাহীক ভাবে প্রচারীত হবে,,,,,,চোঁখ রাখুন।


বিজ্ঞাপন