চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১০ একর জমি বনদস্যুরদের দখলে

Uncategorized অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের প্রায় ১০ একর জমি বনদস্যুরা দখল করে রেখেছে। সেখানে ২৫ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হলেও তা সেগুলো অস্তিত্ব সংকটে। বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসারের বক্তব্যেই মিলেছে এমন দখলের স্বীকারোক্তি।

গতকাল মঙ্গলবার (৩১ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিমের সরেজমিন অভিযানেও ওই বেদখলের সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন চলছে এর পেছনের কারিগর খুঁজে বের করার কাজ।
চট্টগ্রাম দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। বুধবার (১জুন) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তফাজ্জল হোসেন মিয়া, রবি আলম, ফরহাদ, শাহাদাত, আমিন, আফতাব, রুবেলসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে মূলত প্রধান অভিযোগ। তাদের নেতৃত্বেই সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল ও বিক্রি বাণিজ্য চলছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে আমলকী, চিকরাশি, অর্জুন, বহেরা, গামার, জাম, গর্জন, জারুল, ঢাকিজাম, পেয়ারা, তেঁতুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২৫ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছিল ওই জমিতে। বাস্তবে এখন সেগুলোর অস্তিত্ব নেই।

দুদক সুত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী পুঁইছড়ি বন বিট অফিসের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলপূর্বক বিক্রয় এবং বনভূমি বিনষ্ট করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য ও সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, পুইছড়ি বন বিটের মাদার ট্রি এলাকায় প্রায় ১০ একর জমি বনদস্যুরা দখল করে রেখেছে। সেখানে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৫ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়েছিল।
এছাড়া, পুইছড়ি বিটের ২২৯৬ একর বনভূমি মধ্য প্রায় ৯৯ একরই বেদখল অবস্থায় রয়েছে বলে রেঞ্জ অফিসার আনিসুজ্জামান শেখ জানান। ওই বেদখলের সঙ্গে কারা কারা জড়িত এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাদার ট্রি বাগান করার আরও কোনো অনিয়ম রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট টিম।
দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য তফাজ্জল হোসেন মিয়া, রবি আলম, ফরহাদ, শাহাদাত, আমিন, আফতাব, রুবেলসহ আরও অনেকের নেতৃত্বে সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল ও বিক্রি বাণিজ্য চলছে। তারা নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতোই বনাঞ্চল বিক্রি করছেন। একইসঙ্গে অবৈধ স্থাপনা ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন।

ফলে ওই এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বহু পুরনো মাতৃবৃক্ষ বাগান এখন ভয়ংকর ঝুঁকিতে। এমনকি ২০১৯-২০২২ অর্থবছরে বনায়নের ২৫ হাজার চারার অস্তিত্ব চোখে পড়ার মতো নয়। সেখানে কেবল সাইন বোর্ডটি শোভা পাচ্ছে। বনদস্যুরা ওইসব এলাকা দখল করে জুম চাষ ও মাটি বিক্রি করছে।


বিজ্ঞাপন