ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া’র ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

Uncategorized অন্যান্য

নিজিস্ব প্রতিনিধি ঃবুধবার ১লা জুন, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং প্রকাশক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মরহুম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫৩-৩ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।১৯৬৯ সালে এই দিনে পেশাগত কাজে রাওয়ালপিন্ডি অবস্থানকালে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মানিক মিয়ার জন্ম হয় ১৯১১ সালে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানায় । আক্ষরিক অর্থেই মানিক মিয়া ও তাঁর ইত্তেফাক এক বিরামহীন কলমযুদ্ধে নিয়োজিত ছিলেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সৈনিক ইত্তেফাকের ভুমিকা অনস্বীকার্য।।’মোসাফির’ ছদ্মনামে তাঁর লেখনীর মাধ্যমে মানিক মিয়া যেভাবে সহজ-সরল ভাষায় গণমানুষের মনের কথাগুলো ফুটিয়ে তুলছিলেন এবং চলমান গণ-সংগ্রামে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে সাধারণ জনতার আত্মিক সংযোগ স্থাপনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন ৷ একারণে মানিক মিয়া ও ইত্তেফাককে বার বার তৎকালীন পাকিস্তানে গণ-বিরোধী সরকারসমূহের চক্ষুশূল হতে হয়েছে।

তিনি স্রেফ একজন সাংবাদিক হয়েও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মত মানিক মিয়াকে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে। এমনকি, কখনও ইত্তেফাক সহ এই গ্রুপের অন্যান্য পত্রিকা সমূহ বন্ধ করেও দেয়া হয়েছে।

মানিক মিয়া ছিলেন একজন অকুতোভয়, নির্মোহ, আপোসহীন দুঃসাহসিক সাংবাদিক। সাংবাদিকতাকে যতটা না তিনি জীবিকা বা পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি নিয়েছিলেন গণ-মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে। তাই, আমরা দেখি, যুক্তফ্রন্ট সরকারে মন্ত্রিত্বের প্রলোভনও তাঁকে আকর্ষণ করেনি। স্বৈর শাসকদের জেল-জুলুম কিংবা প্রলোভন- কোনটাই তাঁকে গণতন্ত্র ও গণ-মানুষের অধিকারের পক্ষে তিনি যে কলমযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তা থেকে এতটুকু টলাতে পারেনি।
স্পষ্টতই এদেশের স্বাধীনতার জন্য জনমত গঠনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের চেয়ে মানিক মিয়ার মতো অকুতোভয় ও আত্মোৎসর্গীকৃত কলম সৈনিকদের ভূমিকা মোটেই কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।
তাঁদের যৌথ প্রচেষ্টায় যে প্লাটফর্ম গড়ে উঠেছিল, সেটাই ছিল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম চালিকা শক্তি।


বিজ্ঞাপন