“প্রেস লেখা স্টিকারে সয়লাব নড়াইল ‘ শিরোনামে আজকের দেশ ডটকম এ নিউজ প্রকাশের পর অবশেষে টনক নড়েছে ট্রাফিক বিভাগের, চলছে প্রেস লেখা স্টিকার যুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান

Uncategorized খুলনা

!! ” প্রেস লেখা স্টিকারে সয়লাব নড়াইল অসহায় ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাগণ”  শিরোনামে আজকের দেশ ডটকম এ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় পর অবশেষে টনক নড়েছে নড়াইল ট্রাফিক বিভাগের, চলছে প্রেস লেখা স্টিকার যুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান!! 


বিজ্ঞাপন

মো:রফিকুল ইসলাম ঃ ” প্রেস লেখা স্টিকারে সয়লাব নড়াইল অসহায় ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাগণ ” শিরোনামে আজকের দেশ ডটকম এ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় পর অবশেষে টনক নড়েছে নড়াইল ট্রাফিক বিভাগের।

জানা গেছে,  নড়াইল একটি ছোট্ট জেলা,যেখানে রয়েছে ৩টি উপজেলা,নড়াইল সদর,লোহাগড়া ও কালিয়া। নড়াইল শহরের মদ্ধে ৪ থেকে ৫টি স্থানে অবৈধ যানবাহনসহ মোটরসাইকেল এর বৈধ ও অবৈধ কাগজ পত্র চেক করেন,ট্রাফিক পুলিশের কর্তত্ব রত কর্মকর্তাগণ। সেখানে দেখা যায় ভুংভাং করে এদিক সেদিক করে ছেলে পেলে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে গেলেও ধির গতিতে দেখা যায় প্রেস লেখা স্টিকার লাগানো অহর অহর মোটরসাইকেল, যার বেসির ভাগই অবৈধ নেই কোন রেজিষ্ট্রেশনের কাগজ নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই হেলমেট এবং মোটরসাইকেলে প্রেস লেখা স্টিকার লাগানো থাকলেও চালকের কাছে নেই তার পরিচয় পত্র প্রেস কার্ড, কি আজব তাই না। এমন ভাবেই বেপাকে নড়াইল জেলার ট্রাফিক বিভাগ,এ সমস্ত মোটরসাইকেল থামাতে বল্লেও কেউ থামায় আবার কেউ বা সাংবাদিক বলে চলে যায়। এসমস্ত মোটরসাইকেল চালকদের আটক করে তার পরিচয় চাইলেই বলে দেয়,আমার বাবার বাইক, চাচার বাইক, ভাইয়ের বাইক, খালুর বাইক, মামার বাইক ইত্যাদি ইত্যাদি। এদিকে, লক্ষ করা গেছে পুলিশের চোঁখ ফাকি দেয়ার সব থেকে ভালো উপায় হচ্ছে বাইকে প্রেস লেখা স্টিকার টানিয়ে দেয়া,তাহলেই পুলিশের হাত থেকে সহজেই পার পাওয়া। নড়াইল জেলা ঘুরে দেখা যায়, মদির দোকানী মুরগির দোকানী,তরকারী দোকানী,রাজ মিস্ত্রী,বাসের হেলপার,উকিল,শিক্ষক, চিকিৎসক, সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও মোটরসাইকেলে ১০ টাকা দিয়ে একটি প্রেস লেখা স্টিকার লাগিয়ে পুলিশের চোঁখ খুব সহজেই ফাকি দিয়ে চলতে সহজ হয়ে দাড়ায়,এজন্যই এমন ভাবে চলছে প্রেস লেখা স্টিকারের মোটরসাইকেলের ছড়াছড়ি। এদের ধরে আটক করতে একটা উপায় আছে বলে আমি মনে করি যেমন,মোটরসাইকেল প্রেস লেখা স্টিকার ঠিক আছে,আপনার পরিচয় পত্রটা দেখান প্লিজ, চালক,আমার কাছে নাই বাড়ি রেখে এসেছি,সরি আপনার পরিচয় পত্র ছাড়া আপনার বাইক ছাড়তে পারবো না সরি ক্লিয়ার। এবার বলবেন এটা আমার বাইক না ওমুকের বাইক,আমি একটু ঘুরতে এনেছি ও কে ফাইন,তাকেই আসতে বলেন,এবার যদি সেই বাইকের মালিক সঠিক ভাবে বাইকের কাগজ পত্র দেখায় তাহলে ওকে না হলে আইনের ধারায় মামলা,ক্লিয়ার। এবার যদি সাংবাদিক না হয়েও বাইকে প্রেস লেখা স্টিকার কিন্তু চালকের কাছে পরিচয় পত্র নাই তাহলে বাইকটি যার সে আসবে এবং সে নিজে যদি পরিচয় পত্র ও বাইকের কাগজ পত্র দেখাতে পারে তাহলে ওকে না হলে আইনের ধারায় মামলা হতে পারে বলে মনে করি। সে যেই হোক না কেন, এমন করলে দেখবেন রাস্তায় প্রেস লেখা স্টিকারের বাইক নিধন হয়ে যাবে সময় সাপেক্ষে বলে বিশ্বাস করি। এটা এসেছে আমার ক্ষুদ্র মাথায়,সমাধানও হতে পারে যদি চেষ্টা করি সবাই।