নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ “দাবায়া রাখতে পারবা না” পদ্মা সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার পাশাপাশি পদ্মাপারের মানুষের
মাঝে ছড়াবে আলোর দ্যুতি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “দাবায়ে রাখতে পারবা না।” বাস্তবে ঘটেছেও তা-ই। বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারেনি। ১৯৭১ সালে সেটা সত্যে পরিণত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম ‘বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে। অর্ধশত বছর পরেও সেই সত্যই আবারো প্রমাণিত হয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বিস্ময় জাগানিয়া বিশ্বমানের সেতুকাঠামো স্থাপন করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১-এর দীর্ঘ ষড়যন্ত্রেও দাবায়ে রাখা যায়নি বাঙালিকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, বাঙালি জাতির মুক্তির লড়াই পেয়েছে বিজয়ের পূর্ণতা। এক সময় বৈদেশিক অনুদান ও ঋণ ছাড়া যেখানে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন অকল্পনীয় ছিল, সেখানে নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি হওয়া পদ্মা বহুমুখী সেতুর মতো মেগা প্রকল্পও প্রমত্ত পদ্মার বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সক্ষমতার জয়গান গাইছে। এখানেও সত্যের বিজয় হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের যে ভিত্তি তৈরি করে গেছেন, সে পথ ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি।
