নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অতীতের ধারাবাহিকতায় দেশের যে কোন দুর্যোগের মতো এবারও সেনাবাহিনী বসে থাকতে পারেননি। তারা তাদের আন্তরিকতার সবকিছু উজাড় করে বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সিলেট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, সিলেট সদরের বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা ছাড়াও মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কাজ করবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সুনামগঞ্জেও কাজ করবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট এবং সুনামগঞ্জের দিরাই, কোম্পানিগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলায় নামছে সেনাবাহিনী।
ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে টানা বৃষ্টির ফলে গলা পানিতে ডুবে গেছে পুরো সুনামগঞ্জ। বানের জলে ভেসে যাচ্ছে পশুপাখি, ঘরবাড়ি। বৈদ্যুতিক লাইন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান গণমাধ্যমে বলেন, সুনামগঞ্জের বন্যা মোকাবিলায় সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রম সচল রাখার পাশাপাশি উদ্ধারকাজ পরিচালনা করবেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেইসঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজেও যুক্ত হবে সেনাবাহিনী।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম শুক্রবার সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে গণমাধ্যমে বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বন্যার পানি বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।