মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের চিহ্নিত চাঁদাবাজ,সুদেকারবারি, মোহনা টেলিভিশনের কথিত সাংবাদিক নামধারী এস এম হাফিজুল করিম নিলুর নামে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়েছে। কথিত এই সাংবাদিক নামধারী নিলুর চাঁদাবাজির শিকার আয়শা আজমিনা ডালিয়া নামে রোগাক্রান্ত স্বামীকে নিয়ে জীবন সংগ্রামী এক অসহায় নারী বাদি হয়ে সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে নড়াইল সদর আমলী আদালতের বিচারক জুডিশিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন এবং আদালত সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাদির অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী আয়শা আজমিনা ডালিয়া সদর উপজেলার তুলারামপুর ইনিয়নের তুলারামপুর গ্রামের মোঃ আরিফুল কবিরের স্ত্রী। মামলা সূত্রে জানা যায়,ডালিয়ার স্বামী আরিফুল পেশায় একজন ট্রাক চালক হলেও হৃদরোগ ও এ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন কর্ম অক্ষম। ডালিয়া তাদের বাড়ির সামনে একটি ছোট্ট মুদি দোকান চালিয়ে স্বামীর চিকিৎসাসহ সংসারের ব্যায় বহন করে। এ অবস্থায় অনুমানিক ৪/৫ মাস আগে বাদির স্বামী আরিফুল তাদের বাড়ির পাশে ট্রেন লাইনে বালু সরবরাহকারি তানহা এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে ভাড়ায় ড্রাম ট্রাক সরবরাহের কাজ নিয়ে সেখানে বিভিন্ন মালিকের নিকট থেকে এনে ১০টি ড্রাম ট্রাক ভাড়া দেয়। প্রথম দিকে তানহা এন্টারপ্রাইজ ট্রাকের ভাড়া ঠিকমতো পরিশোধ করলেও পরে ভাড়া দিতে গড়িমসি করে এবং তাদের কাছে আরিফুলের অনেক টাকা বাকি পড়ে। এ নিয়ে তানহা এন্টারপ্রাইজের মালিকের সঙ্গে বিরোধের একপর্যায়ে পাওনা টাকার দাবিতে গ্রামের লোকজন নিয়ে তাদের বালুর বেডে গিয়ে কাজে বাঁধা দিলে অরিফুলসহ গ্রামের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বালুর বেডের মালিক ১০লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগ উত্থাপন করেন,তুলারামপু বিট পুলিশের কাছে। এ বিষয়ে সাংবাদিক হাফিজুল করিম নিলু,আরিফুলের বালুর বেডে গিয়ে নিউজ করে তাদের জেলে ঢোকানোর হুমকি প্রদান করে এবং তাৎখনিক ১ হাজার টাকা চাঁদা নেন এবং পরের দিন সকালে আরো ১০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে মোট,১১হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত কবির। প্রসঙ্গত,সাংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে এর আগে তুলারামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ এর নিকট নড়াইল প্রেসক্লাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে বহুল আলোচিত চাঁদাবাজ সাংবাদিক নামধারী হাফিজুল করিম নিলুর চাঁদা দাবির ফোনালাপের অডিও রেকর্ড সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে ভাইরালসহ সব মহলে ব্যাপক সমালোচিত হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাংবাদিক এস এম হাফিজুল করিম নিলুর সাথে সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলাম,মোবাইল,ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি,যার মোবাইল নাম্বার-০১৭১৬-৭৩১৭৭০। এদিকে,অভিযোগকারী আয়শা আজমিনা ডালিয়া জানান,আমি দূর্নীতিবাজ সাংবাদিকের বিচারের দাবিতে নড়াইল আদালতে মামলা করেছি। এবিষয়ে,বাদির স্বামী মোঃ আরিফুল কবির জানান,আমার স্ত্রী বাদি হয়ে নড়াইল কোর্টে আজ (২৭ জুন) সোমবার দুর্নীতিবাজ সাংবাদিকের নামে চাঁদাবাজির মামলা করে। মামলার খবর পেয়ে চাঁদাবাজ,দূর্নীতিবাজ সাংবাদিক হাফিজুল করিম নিলুসহ দুজন আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী মামলার বাদিকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিতি দেখিয়ে যোঁর পুর্বক মিমাংশা পত্র লিখে এনে আমার স্ত্রীকে দিয়ে যোঁর পুর্বক সই করাতে চেষ্টা করে। আমিসহ আমার স্ত্রী দূর্নীতিবাজ সাংবাদিকের বিচার দাবি করি বলেও জানান। অভিযুক্ত টাউট,বাটপার,চাঁদাবাজ সাংবাদিক হাফিজুল করিম নিলু,তার নামে চাঁদাবাজির মামলা লোক মার্ফত সংবাদ পেয়ে বাদির বাড়িতে গিয়ে যোঁরপূর্বক মিমাংসা পত্রে সই করার চেষ্টা করে এবং বাদি আয়শা আজমিনা ডালিয়াকে অভিযুক্ত চাঁদাবাজ সাংবাদিক নামধারী নিলু,খারাপ ভাষায় গালমন্দ করেন,যার ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের কাছে এসেছে। স্থানীয় এলাকা বাসি এ চাঁদাবাজ সাংবাদিকের বিচার চান বলেও জানান। এ সংবাদের ভিত্তিতে কথিত সাংবাদিক এস এম হাফিজুল করিম নিলুর মোবাইল ফোনে বার বার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলাম সমাজের উন্নয়নের জন্য এবং সমাজকে দূর্নীতি মুক্ত করার লক্ষে সংবাদ প্রচার করলে টাকার বিনিময়ে এ টাউট দূর্নীতিবাজ প্রতারক সাংবাদিক নিলু ঘুষ নিয়ে এবং সাংবাদিক রফিকুল ইসলামকে ঘুষ দিয়ে,সংবাদ বন্ধ করতে চেষ্টা করেন। নড়াইলের সুশিল সমাজ এ দূর্নীতিবাজ টাউট চাঁদাবাজ সাংবাদিকের বিচার দাবি করেন,বলেও এ প্রতিবেদকে জানান।