বঙ্গভবনে বাংলাদেশে অস্ট্রিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও লিবিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কর্তৃক রাষ্ট্রপতির নিকট পরিচয় পত্র পেশ

Uncategorized জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গত বুধবার ২৯ জুন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের নিকট বঙ্গভবনে বাংলাদেশে অস্ট্রিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত Katharina WIESER ও লিবিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত Abdul Mutaleb Suliman Mohammed Suliman পরিচয়পত্র পেশ করেন। বিকেলে নতুন দূতগণ বঙ্গভবনে পৌঁছুলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।

প্রথমে পরিচয় পত্র পেশ করেন অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ অস্ট্রিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া অন্যতম।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছর দুই দেশ কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। তিনি দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আশা করেন আগামীতে এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো সম্প্রসারিত হবে।

তিনি এ লক্ষ্যে দুদেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ ও সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্ব দেন। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়ার বাণিজ্য সহযোগিতা ও সার্বিক সমর্থন প্রত্যাশা করেন।

রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

রাষ্ট্রপতি বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রিয়া সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এরপর পরিচয়পত্র পেশ করেন লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নতুন দূতকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান।

তিনি বাংলাদেশ ও লিবিয়ার মধ্যে বিদ্যমান বহুমাত্রিক ও চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ সম্পর্ককে ব্যবসা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তিনি এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ঔষধ, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে থাকে।

লিবিয়া এসব পণ্য আমদানীর মাধ্যমে লাভবান হতে পারে। রাষ্ট্রপতি বলেন, লিবিয়ার সংকটময় সময়েও সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সেবা দিয়েছে।
তিনি বলেন, লিবিয়া বাংলাদেশ থেকে কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে তাদের জনশক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারে। তিনি লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নতুন দূতের সহযোগিতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও লিবিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দায়িত্ব পালনকালে নতুন দূতগণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রতিটি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে আন্তরিক প্রয়াস চালাবেন।

নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণ বলেন, তারা বাংলাদেশের সাথে স্ব স্ব দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারে সার্বিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন।

রাষ্ট্রদূতগণ দায়িত্বপালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব সিনিয়র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রাচার প্রধান মোঃ আমানুল হক সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *