নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ জঙ্গিবাদে বেশি জড়াচ্ছেন ১৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা। মাদরাসার তুলনায় সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার হার বেশি। সচ্ছল পরিবারের তরুণরাই পারিবারিক, রাজনৈতিক, ভাবাদর্শগতসহ একাধিক কারণে বিভিন্ন ধাপে জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছেন। যাদের অধিকাংশেরই অভিভাবকরা শুরুতে বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছেন না।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) এক গবেষণা মতে, জঙ্গিবাদে জড়ানো তরুণদের মধ্যে ৭৩ শতাংশের বেশি সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত ২৩ শতাংশ ভোকেশনালের ২ দশমিক ১ শতাংশ। আর শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই এমন রয়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন সময় গ্রেফতার ৫৭২ জঙ্গির তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পেয়েছে সিটিটিসি। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে জঙ্গিবাদে জড়িত হওয়ার লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কেও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ২০১৬ সালের হলি আর্টিসান হামলার পর কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ ২৩টি ‘হাই রিস্ক অপারেশন’ পরিচালনা করে সিটিটিসি। কল্যাণপুরে অপারেশন স্টর্ম-২৬, নারায়ণগঞ্জে অপারেশন হিট স্টর্ম-২৭, গাজীপুরের পাতারটেকে অপারেশন স্পেট-৮ সহ সিটিটিসি ২৩টি হাই-রিস্ক অপারেশন পরিচালনা করে। এসব অভিযানে ৬৩ জন জঙ্গি নিহত হয়। সিটিটিসি তদন্ত শেষ করা দুটি মামলায় (হলি আর্টিসান ও অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড) রায় হয়েছে যেখানে ১২ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।