মামুন মোল্লা (খুলনা) ঃ আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে কুরবানির পশুর হাট সুষ্ঠু ও নিরাপদে পরিচালনার লক্ষ্যে এবং বিপনী বিতান, মার্কেট ও বাজার সমূহের নিরাপত্তা বিধানের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের। উক্ত
নির্দেশনা সমুহ যথাক্রমে উল্লেখ করা হলো,পশুর হাট কমিটির জন্য নির্দেশনা সমুহ যথাক্রমে,
হাট বসানোর জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কোন অবস্থায় বদ্ধ জায়গায় হাট বসানো যাবেনা।
হাট ইজারাদার কর্তৃক হাট বসানোর আগে মহামারি প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন-মাস্ক, সাবান, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে। পরিস্কার পানি সরবরাহ ও হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল সাবান, সাধারণ সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
পশুর হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও হাট কমিটির সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হাট কমিটির সকলের ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করা এবং মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা দিতে হবে। জনস্বাস্থের বিষয়গুলি যেমনঃ মাস্ক এর সঠিক ব্যবহার, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার, শারীরিক দুরত্ব, হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিসমূহ সার্বক্ষণিক মাইকে প্রচার করতে হবে।
মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতা-বিক্রেতা হাটের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেনা। হাট কর্তৃপক্ষ চাইলে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করতে পারেন বা এর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন।
পশুর হাটে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ডিজিটাল পর্দায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রচার করতে হবে।
পশুর হাটে প্রবেশের জন্য গেট (প্রবেশগেট ও বাহিরগেট) নির্দিষ্ট করতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পশুর বর্জ্য দ্রুত পরিস্কার করতে হবে। কোথাও জলাবদ্ধবতা তৈরী করা যাবে না।
হাটে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক এক বা একাধিক ভ্রাম্যমান সে¦চ্ছাসেবী মেডিকেল টিম গঠন করে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মেডিকেল টিমের নিকট শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার রাখা যেতে পারে, যাতে প্রয়োজনে হাটে আসা সন্দেহজনক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া তাৎক্ষনিকভাবে রোগীকে আলাদা করে রাখার জন্য প্রতিটি হাটে একটি আইসোলেশন ইউনিট (একটি আলাদা কক্ষ) রাখা যেতে পারে।
একটি পশু থেকে আরেকটি পশু এমনভাবে রাখতে হবে যে ক্রেতাগণ কমপক্ষে ৩(তিন)ফুট বা ২(দুই) হাত দুরত্ব বজায় রেখে পশু ক্রয় করতে পারেন।
ভিড় এড়াতে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
মূল্য পরিশোধের সময় সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়ানোর সময়কাল যেন কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। লাইনে ৩(তিন) ফুট বা কমপক্ষে ২(দুই) হাত দুরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে রেখা টেনে বা গোল চিহ্ন দিয়ে দিতে হবে।
হাটের ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে কেনা-কাটা করা সম্ভব, এমন সংখ্যক ক্রেতাকে হাটে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। অবশিষ্ট ক্রেতাগণ হাটের বাহিরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করবেন। ১টি পশু ক্রয়ের জন্য ১ বা ২ জনের বেশি ক্রেতা হাটে প্রবেশ করবেন না।
অনলাইনে পশু কেনা-বেচার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা যেতে পারে।
পশুর হাট নির্ধারিত সীমানার বাইরে রাস্তা পর্যন্ত বর্ধিত হয়ে যেন যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে সকল কাজ নিশ্চিত করতে হবে।
পশুর হাটের ইজারাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জাল নোট সনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন ও বুথ তৈরী করবেন।
পশুর হাটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হাসিল প্রদর্শন করতে হবে এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করতে হবে।
মার্কেট কমিটির জন্য নির্দেশনা সমুহ যথাক্রমে,
মার্কেট প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
ক্রেতাদের মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
আগত ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আগত ক্রেতাদের প্রতি মার্কেটে প্রবেশ এবং বহির্গমনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে।
মার্কেটে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে।
প্রতিটি মার্কেটের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/বেসিন স্থাপন এবং সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
প্রতিটি মার্কেটের সামনে স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশিকা “স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যু ঝুঁকি আছে” সম্বলিত ফেষ্টুন প্রদর্শন/ঝুলানোর ব্যবস্থা করবেন।
মার্কেটের সামনে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করা।