নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ !! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল রবিবার ৫ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে!!
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, যশোর-এর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যশোর মহিলা কর্মজীবী হোস্টেলের তোষক ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোর-এর সহকারী পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেন, উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন এবং চিরঞ্জীব নিয়োগীর সমন্বয়ে গঠিত টিম গতকাল রবিবার ৩ জুলাই একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম উক্ত দফতর হতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে যশোর মহিলা কর্মজীবী হোস্টেলের আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য ১৭.৭৬ লক্ষ টাকা এবং যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য ৪.৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসবাবপত্র এবং যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় পিপিআর (PPR) অনুসরণ করা হয়নি এবং নিম্নমানের পন্যের দাম বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দেখানো হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। রেকর্ডপত্রসমূহ অধিকতর পর্যালোচনাপূর্বক টিম এ বিষয়ে শীঘ্রই কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।
নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পারস্পরিক যোগসাজশে ০৫ টি রাস্তায় নিম্নমানের ইট, বালি ও বিটুমিন ব্যবহার সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী এর সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান, উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ হুমায়ুন বিন আহমেদ, জনাব আবদুল্লাহ আল মাছুম ও সহকারী পরিদর্শক মোঃ শরিফুল ইসলাম এর সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম একই দিনে আরো একটি অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে দেখা যায়, উক্ত ৫ টি রাস্তার মাঝে ২ টি রাস্তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোস্তফা এন্ড সন্স কর্তৃক সাব ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করিয়েছে, বিধায় কাজের মান আশানুরুপ হয়নি। সব কয়টি রাস্তা টিম কর্তৃক সরেজমিন পরিদর্শন দেখা যায়, এস্টিমেট অনুযায়ী কাজের পরিমাণ সঠিক থাকলেও নিম্নমানের ইট ও বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়া, ঠিকাদার কর্তৃক বৃষ্টি চলাকালীন কার্পেটিং এর কাজ করার কারণে অনেক জায়গায় তাৎক্ষণিক কার্পেটিং উঠে যেতে দেখা যায়। টিম সংশ্লিষ্ট দফতর হতে নথিপত্র সংগ্রহ করেছে, যা পর্যালোচনা করে টিম পরবর্তীতে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্ক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।