নিউজ ডেস্ক ঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির সুরক্ষার জন্যে ১৯৭৬ সালে প্রথম এই বাহিনী গঠন করেন। তখন এটি প্রেসিডেন্টসিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ এটি পূনর্গঠন করেন এবং একটি পূর্ণাঙ্গ বাহিনী হিসাবে উন্নীত করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও তাদের পরিবারের নিকটতম সদস্যদের এবং সরকারী সিদ্ধান্তনুসারে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা প্রদান এই বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব।প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের এর কমান্ডার একজন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল যিনি রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, তার পদমর্যাদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের সামরিক অফিসারের সমতুল্য। তিনি তার কাজের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র বিধায় তিনি একমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছেই রিপোর্ট করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রাণনাশের হুমকি হতে পারে এমন যে কাউকে একজন পিজিআর সদস্য নিষ্ক্রিয় করার বিশেষ ক্ষমতা প্রাপ্ত।
জনবল কতজন রয়েছে সে বিষয়ে জানা না গেলেও খাতা কলমে আট প্লাটুন সৈন্যের সমন্বয়ে এই বাহিনী পরিচালিত হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি প্লাটুনের নেতৃত্বে থাকেন একজন মেজর অথবা ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
সেনাবাহিনীর মধ্য থেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সবচেয়ে দক্ষ সৈন্যদের বাছাই করে পিজিআরে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা দেশে এবং বিদেশ থেকে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে। তাছাড়া এই বাহিনীর সদস্যদেরই পোষাকের সাথে সর্বাবস্হায় আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার অনুমতি রয়েছে এমনকি শান্তিকালীন সময়ও।
পিজিআরের ব্যবহৃত অস্ত্রসমূহ যথাক্রমে, Type 92 Semi-automatic pistol 9mm. BD-08 Assault rifle 7.62mm. Heckler & Koch MP5 / Kriss vector Gen II
Romak III Sniper rifle 7.62mm. BD-15 Light machine gun 7.62mm.
RPD Light machine gun 7.62mm. Type 80 General purpose machine gun 7.62mm. M40A1 recoilles rifle 106mm. BTR-80
ছবি ঃ প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের BTR-80 এপিসি।
তাছাড়া প্রয়োজননানুসারে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যেকোন অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।