রেলওয়ের কাছে পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর

Uncategorized জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ রোববার ১৭ জুলাই, সকালে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা এবং পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকৌশলীরা উভয়ই সেতুর নিচের অংশে পরিদর্শন করেন।

রেলওয়ের কাছে পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে আজ। এর মধ্য দিয়েই পদ্মা সেতুতে নিচের অংশে রেললাইন বসানোর কাজের আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেল রেলওয়ে। সেতু হস্তান্তরের বিষয়টি জানিয়েছেন পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘আজ সেতু হস্তান্তর করা হলো। সকাল থেকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আমরা ইন্সপেকশন করব।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সকালে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা এবং পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের প্রকৌশলীরা উভয়েই সেতুর নিচের অংশ পরিদর্শন করেছেন। তারপর সেতু রেলের কাছে হস্তান্তর করেছে পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ।

সেতু হস্তান্তরের বিষয়ে পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর গণমাধ্যমে বলেন, ‘আজ আমাদের সেতু হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার থেকেই আমরা কাজ শুরু করব। সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ করতে ছয় মাস সময় লাগবে। আশা করছি আগামী ডিসেম্বর মাসে সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ করতে পারব।’

এদিকে রেলসংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতির তথ্য বলছে, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর সেকশনের কাজের অগ্রগতি ৫১ শতাংশ এবং সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন লাইনে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে সেতু বিভাগ। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য কাজ করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এ লক্ষ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি (সরকারি পর্যায়ে) পদ্ধতিতে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। এই প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এবং প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা।

এই ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া। দ্বিতীয় ভাগ মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা। শেষ ভাগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অংশ পড়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *