কুটনৈতিক বিশ্লেষক ঃ মালিতে যৌথ উদ্যোগে ড্রোন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার ২০ জুলাই, সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৯ তম বৈঠকে জানানো হয়েছে, পর্যন্ত বিশ্বের ৪০ দেশে ৫৪টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর এক লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৯ জন সদস্য অংশ নিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের আটটি দেশের ৯ টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ছয় হাজার ৮৩২ জন সদস্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছেন।
এ বছরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন করে ৪৯১ জন জনবলের সমন্বয়ে একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন সুদানের আবেয়িতে মোতায়েন হয়েছে। দক্ষিণ সুদান ও সুদানের আবেয়িতে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার হিসেবে একজন মেজর জেনারেল ও একজন ব্রিগেডিয়ার পদবির কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মালিতে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ ও সন্ত্রাসী হামলা মোকাবেলায় মাইন রেসিসট্যান্ট অ্যাম্বুস প্রোটেকটেড ভেহিকেল মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া সি১৩০-জে এয়ার ক্রাফট ও নাইট ভিশন সুবিধাসম্পন্ন হেলিকপ্টারসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি মিশন এলাকায় পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
মালিতে আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট মোতায়েনের পরিকল্পনা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশর যৌথ উদ্যোগে মিশন এলাকায় ড্রোন ইউনিট মোতায়েনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবয়েন ইউএস এর স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, বাংলাদেশের জন্যে একটি অত্যাধুনিক ড্রোন তৈরীর জন্যে বাংলাদেশকে তারা ১৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে৷ ড্রোন তৈরীর এই প্রজেক্টটি হবে যৌথ উদ্যোগে।