নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত সপ্তাহখানেকের বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে প্রায় অর্ধশত দূর্ঘটনা ঘটেছে। এতে এ পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উপকূলে ভেসে এসেছে, উদ্ধার হয়েছে ১৬৫ জন এবং ভারতে উদ্ধার হয়েছে ৮৭ জন। সাগরে এত ট্রলার দূর্ঘটনার মুল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যথাযথ সময়ে দূর্যোগের বার্তা পাননা জেলেরা। যেমনটা হয়েছে এবারে, একটি নিম্নচাপের সংকেত শেষ হতে না হতেই দুদিন পর আবার আরেকটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এতেই ব্যাপক দূর্ঘটনার সৃষ্টি।
বাংলাদেশ বেতার কিংবা বরিশাল বেতারের এফএম তরঙ্গ গভীর সমুদ্রে তো দূরের কথা, কুয়াকাটা, এমনকি বরগুনা পর্যন্তই ঠিকমতো পৌঁছায় না। অথচ এই দুই জেলায় সবচেয়ে বেশি জেলের বসবাস।বঙ্গোপসাগরের পটুয়াখালী ও বরগুনা উপকূলের পাঁচ কিলোমিটারের পর থেকে সাগরে বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রের ফ্রিকোয়েন্সি নেই। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় যে চারটি রেডিও স্টেশন রয়েছে, তা-ও সাগরতীরে অচল।
বরিশাল বেতার কেন্দ্রে বর্তমানে এ কেন্দ্রে দুটি ট্রান্সমিটার আছে। একটি ১০ কিলোওয়াটের ‘এফএম’ ট্রান্সমিটার, অন্যটি ২০ কিলোওয়াটের ‘এএম’ ট্রান্সমিটার। এফএম ট্রান্সমিটারের ফ্রিকোয়েন্সি এএম ট্রান্সমিটারের তুলনায় কম থাকে। বরিশাল এএম ট্রান্সমিটারটির ফ্রিকোয়েন্সি ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী পায়রা সেতু পর্যন্ত বরিশাল বেতার শোনার কথা।আর এফএম শুধু শহরেই সীমাবদ্ধ, যেটা মোবাইলে শোনা যায়
ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর উপকূলের জেলেদের কাছে আবহাওয়ার বার্তা পৌঁছাতে চারটি রেডিও চালু করা হয়েছিল। বরগুনায় লোক বেতার, আমতলীতে কৃষি রেডিও, খুলনায় সুন্দরবন রেডিও এবং সাতক্ষীরায় রেডিও নলতা। এই চারটি রেডিও ওই এলাকা থেকে গড়ে ২৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা যায়।
বরিশাল বেতার কেন্দ্রের ফ্রিকোয়েন্সি পটুয়াখালীর স্থলভাগেই পৌঁছে না। অথচ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার দক্ষিণে আরো ৩০-৪০ কিলোমিটার দূরেও সমুদ্রের জেলেরা মাছ ধরেন। তাই দুর্যোগের বার্তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। উপকূলের চারটি রেডিওর ফ্রিকোয়েন্সি ন্যূনতম ৫০০ ওয়াট বাড়ানো গেলে গভীর সমুদ্রের জেলেরা উপকৃত হতেন।