সামরিক বিশ্লেষক ঃ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ওয়াই, এ, কে-১৩০ এ কে,এস,ইউ-১৩০ ফ্লাই বাই ওয়ার সিস্টেম ইউজ করা হয়েছে।
এটি আসলে কীভাবে কাজ করে? চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ-এই সিস্টেমে বিমান নিজেই ঠিক করতে পারে কোন উচ্চতায় এয়ারক্রাফট কত স্পীডে থাকবে, কতটা ম্যানুভার করা সম্ভব। এছাড়া ফ্লাইট পাথ ঠিক করে উড়ার ক্ষমতাও এর থাকে।
এই সিস্টেম পাইলট এর বডি কন্ডিশন মনিটর করে ফ্লাই করতে পারে৷ তাই অতিরিক্ত জি ফোর্স বা ১৮০° টার্ন এর ক্ষেত্রে পাইলট এর মস্তিষ্কের যে অতিরিক্ত রক্ত চাপ তৈরি হয় সেই সময় পাইলট বিমান এর কন্ট্রোল হারালেও ফ্লাই বাই সিস্টেম থাকা ইন্ট্রিগ্রেড মনিটরিং সিস্টেম বিমানের কন্ট্রোল হারাতে দেয়না।
এনিমি এয়ারক্রাফট কে লক অন থেকে ফাঁকি দিয়ে ম্যানুভার এর সময় অনেক সময় উচ্চতার কথা খেয়াল থাকে না কারন ওই সময় পাইলট রা সবচেয়ে বেশি জি ফোর্স অনুভব করে, এবং সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে থাকে।
তাই ওই সময় পাইলট যদি মনে করে যে পেছনের বিমান কে ফাঁকি দিতে ডাউন- সুইপ করবে। তখন এই ফ্লাই বাই ওয়ার ক্যাল্কুলেট করে ১ সেকেন্ড এর ১০০ ভাগ এর ১ ভাগ সময়ে যে ডাউন সুইপ করলে মাটি তে সংর্ঘষ হবার চান্স আছে কিনা, যদি থাকে তখন এই সিস্টেম পাইলট কে ওয়ার্নিং দেয়। যদি পাইলট তা না মানে, তখন এই সিস্টেম নিজেই তাৎক্ষনিক ডিসিশন নেয় কোন দিকে যেতে হবে।এইসময় প্রয়োজন হলে এই সিস্টেম নিজেই ফ্লেয়ার রিলিজ করতেও সক্ষম।
