সরিষাবাড়ী(জামালপুর) প্রতিনিধি ঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ভূমি নিয়ে বিরোধে দুই পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ।উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর মধ্যপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গত ২১ শে জুন থেকে ওই এলাকার স্থানীয় আব্দুল মালেক ও সুরুজ্জা মান এর দুটি পরিবারকে একঘরে করে রাখা হয়েছে।
এতে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ ঘটনায় সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রতিকার চেয়ে রবিবার (৪ আগস্ট) ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মারুফা আক্তার একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মারুফা আক্তার জানান, চলতি বছরের ২১ জুন এলাকার প্রভাবশালী দৌলতপুর মধ্যেপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি হবিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন ও স্হানীয় রাজা মিয়া,বাবলু মিয়া, রাসেল মিয়া ও মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু সহ আরও ১০/১৫ জন মিলে তাকে এবং তার নানা সুরুজ্জামান এর পরিবারকে এক ঘরে করে রেখেছেন।
ফলে দুটি পরিবারের সদস্যরা এলাকার অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে, মিশতে, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে, বাজার যাইতে, এমনকি মসজিদে যেতে নিষেধ,কোরবানী ঈদে গোশতের সামাজিক বণ্টন থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ও কোরবানী দিতেও বাধা সহ মিথ্যা মামলার আসামী করে হয়রানী ও মারধর করছে ওই প্রভাবশালীরা।
আরেক ভুক্তভোগী সুরুজ্জামান জানান, প্রভাবশালী হবিবর রহমান এর ভাতিজা মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঙ্গে .০৭ শতাংশ ভূমি নিয়ে আব্দুল মালেক এর সঙ্গে বিরোধ চলছে।
এ নিয়ে আব্দুল মালেক মিথ্যা মামলা করে এবং তার কলেজ পডুয়া ছেলেকে মারধর সহ জমির দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য মাতাব্বরদের সিদ্ধান্তে সাদা কাগজে স্বাক্ষর সহ নানা অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় সমাজপতি হবিবর রহমান এর কথামত অন্যায়ভাবে দুই পরিবারকে বয়কট করে রেখেছেন।
এর বিচারের দাবি জানান তিনি।
প্রভাবশালী হবিবর রহমান দাবি করেন, ‘শুধু ভূমি বিরোধ নয়, আব্দুল মালেক ও সুরুজ্জামান এরা এলাকা ও জ্ঞাতি গোষ্ঠীর সিদ্ধান্ত না মানার কারণে তাদেরকে নিয়ম-শৃঙ্খলায় ফেরাতে কিছু বিধি-নিষেধ মৌখিকভাবে দেওয়া হয়েছে।
সমাজ থেকে বহিষ্কার করলে তারা সমাজে কীভাবে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সমাজের কথা মেনে চললে তাদেরকে আমরা নিয়ে নেব।
জানতে চাইলে আওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বেলাল হোসেন বলেন, আব্দুল মালেক এর সাথে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ এটা জানি। কিন্তু দুটি পরিবারকে এক ঘরে করা হয়েছে বলে লোক মুখে শুনেছি। একঘরে করে রাখার বিষয়টি আমাকে জানালে মেম্বারসহ বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধান করে দেবেন বলে জানান।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, এই ধরনের কোনও অভিযোগ পাননি উল্লেখ করে বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা থানায় না এলে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে না জানালে প্রতিকার কীভাবে পাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে দরখাস্ত পেয়েছি। এ বিষয়টি কি করা যায় দেখছি।