মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে অসম্ভবকে সম্ভব করা,করিম ডায়াবেটিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা.এম এ ওয়াহাব। নড়াইল পৌর-সভার মাছিমদিয়া গ্রামের মৃত,করিম সাহেবের কৃতি সন্তান অসহায় গরিবের বন্ধু অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহাব। নড়াইল পৌর-সভার মাছিমদিয়া গ্রামে ২০০৩ সালে স্থাপিত হয় করিম ডায়াবেটিক এন্ড জেনারেল হাসপাতাল,সেই সময় ধরে সকল প্রকার অপারেশন করে অসম্ভবকে সম্ভব করে আসছেন,
এ অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহাব। গত (১০ সেপ্টেম্বর) শনিবার মূত্রনালীবিহীন জন্ম নেই অনামিকা নামের একটি শিশু,২৩-২৪ ঘন্টা পরে মূত্রনালী তৈরীর সফল অপারেশন করে অসম্ভবকে সম্ভব করে,জাদুকরখ্যাত নড়াইলের কৃতি সন্তান,নড়াইলের গর্ব অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহাব।অবুঝ শিশু অনামিকা লোহাগড়া উপজেলার শিয়েরবর গ্রামের শামিম সর্দারের মেয়ে। করিম ডায়াবেটিক এন্ড জেনারেল হাসপাতাল ২০০৩ সালে স্থাপিত হয় এবং অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহাব তার গর্বিত পিতা করিম সাহেবের নামেই হাসপাতালের নামকরন করেন। নড়াইল পৌর-সভার মাছিমদিয়া’র করিম ডায়াবেটিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন গোপালগঞ্জ,মাগুরা,ফরিদপুর,যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। করিম ডায়াবেটিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের আত্মীয় স্বজনদের জন্য রয়েছে থাকা ও রান্না করে খাবারের সু-ব্যবস্থা এবং রোগীদের জন্য নামমাত্র মূল্যে ওষুধের ব্যবস্থা,অসহায়দের বিনামূল্যে দেওয়া হয় ডায়াবেটিক এর ইনসুলিন। এখানে সার্বক্ষণিক রয়েছে দাঁত,চোখ ও ডায়াবেটিক চিকিৎসক। অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহাব ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে ডিগ্রী লাভ করে,ঢাকা মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। ১৯৭২ সালে পাড়ি দেন ইংল্যান্ডে,সেখান থেকে এফ আর সি এস শেষ করে ওখানেই কর্মরত ছিলেন বেশ কিছুদিন। ১৯৮৭ সালে পাড়ি দেন অস্ট্রেলিয়া,সেখান থেকে এস এইস ইডি ডিগ্রী লাভ করেন,তিনি চাইলেই থাকতে পারতেন ইংল্যান্ড অথবা অস্ট্রেলিয়া কিন্তু তিনি দেশের টানে দেশের মানুষের টানে ফিরে আসেন দেশে। বাংলাদেশে সর্ব প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন করেন,নড়াইল এর কৃতি সন্তান অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াহাব। নাড়ির টানে জন্ম মাটি ও মানুষের টানে নড়াইলে প্রতিষ্ঠা করেন,করিম ডায়াবেটিক এন্ড জেনারেল হাসপাতাল,সেই থেকেই সফলতার সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসচ্ছেন,নড়াইল এর কৃতি সন্তান অধ্যাপক জাদুকর ডা. এম এ ওয়াহাব।