নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ স্টক রেজিস্ট্রার গুদামে ৩ হাজার ৮৭১ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে পাওয়া গেল ৩ হাজার ৫০৩ মেট্রিক টন। অর্থ্যাৎ ৩৩৬ টন সারের হদিস নেই। এমনকি বেহাত হওয়া সারের বিষয়ে গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছেও নেই জবাব।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পটুয়াখালী বাফার গুদামের সাবেক ডিপো ইনচার্জ ও উপ-ব্যবস্থাপক (ফয়ার অ্যান্ড সেফটি) মো. হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. ওয়াজেদ আলী গাজী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সুত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২৭ জুন থেকে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পটুয়াখালী বাফার গুদামে ডিপো ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন হারুন।
ওই সময় গুদামের স্টক রেজিস্ট্রার অনুযায়ী মোট ৩ হাজার ৮৭১ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ৩ হাজার ৫০৩ মেট্রিক টন পাওয়া যায়। মজুতে ঘাটতি সারের বিষয়ে যথাযথ জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ডিপো ইনচার্জ ও উপ-ব্যবস্থাপক। অর্থাৎ ৩৬৭ মেট্রিক টন সার আত্মসাত হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
আত্মসাতকৃত সারের আমদানি মূল্য ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৮১৬ টাকা। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
