কুটনৈতিক বিশ্লেষক ঃ গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে পড়া গোলার সাথে আরাকান আর্মির যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে।
এর মধ্যে গত শুক্রবার জিরো লাইনের উপর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে ৪টি গোলা পড়েছে তাতেও আরাকান আর্মি জড়িত বলে জানাচ্ছে সূত্র।
তমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের উপর নজরদারি করার উদ্দেশ্যে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী একটি বর্ডার আউটপোস্ট স্হাপন করেছে।
এ ধরনের বর্ডার আউটপোস্ট রয়েছে সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন স্হানে। আরাকান আর্মি এবং মায়ানমার আর্মির সংঘর্ষের জেরে বিদ্রোহীরা চাচ্ছে এসব বর্ডার আউটপোস্ট দখল নিতে।
আর এই বিওপিগুলো লক্ষ্য করে মর্টার ছুড়ছে বিদ্রোহীরা। যার মধ্যে কয়েকটি মর্টার বিদ্রোহীদের নেভিগেশনাল ত্রুটির কারণে বাংলাদেশে এসে পড়ছে। আর আরাকান আর্মি যেসব গোলা ব্যবহার করছে তা বেশীরভাগই ইমপ্রোভাইজড করা।
যার ফলে এসব গোলার যেমন সঠিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার কার্যকর ক্ষমতা নেই, ঠিক তেমনি নিম্নমানের। তাই এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ৫টি গোলা এসে পড়লেও, বিষ্ফোরিত হয়েছে মাত্র একটি।
তবে মোদ্দাকথা হল তাদের সীমান্তের অভ্যন্তরে যাই ঘটুক না কেন। তার দায়ভার তো আমাদের উপর আসতে পারেনা।
মায়ানমার সীমান্তে যা কিছু ঘটছে তার কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যেসব উদ্বেগজনক পরিস্হিতির সৃষ্টি হচ্ছে তার জন্যে মায়ানমার আর্মি এবং আরাকান আর্মি উভয়ই দায়ী। এক্ষেত্রে সীমান্তে বিদ্রোহী দমন করে একমাত্র কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে মায়ানমার আর্মি।
প্রথম ম্যাপে উল্লেখিত নিল ডটগুলো দ্বারা মায়ানমার আর্মির স্হাপনা বুঝানো হয়েছে।